কমন ইউনিভার্সিটি এন্ট্রান্স টেস্ট কোনও বোর্ড পরীক্ষায় বাধা তৈরি করবে না”- ইউজিসি চেয়ারম্যান । সম্প্রতি,ইউজিসির একটি ঘোষণা সারা ভারতের শিক্ষার্থীদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল।কারণ,ইউ জি সির তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল- “কমন ইউনিভার্সিটি এন্ট্রান্স টেস্ট” এর কথা।এতে বলা হয়েছিল এবার থেকে কলেজে ভর্তি হতে গেলে একটিই সাধারণ পরীক্ষা দিতে হবে।কিন্তু এরপরই শুরু হয় বিতর্ক।কারণ, উচ্চমাধ্যমিকের নম্বরের ভিত্তিতে কলেজে ভর্তি আর হবে না।এছাড়াও, ইউজিসি অর্থাত্ ইউনিভির্সিটি গ্রান্ট কমিশন জানায়, “দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় সহ সমস্ত কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে স্নাতকস্তরে পড়ুয়াদের ভর্তির জন্য নতুন কমন ইউনিভার্সিটি এন্ট্রান্স টেস্ট বা CUET স্কোর ব্যবহার করতে হবে।”
এবার প্রশ্ন ওঠে তাহলে সবকটি বোর্ড পরীক্ষাই কি গুরুত্বহীন হয়ে পড়ল? আর বুধবার এই প্রশ্নের উত্তর দেন, ইউজিসি চেয়ারম্যান জগদেশ কুমার। তিনি বলেন “সিইউইটি বা কমন ইউনিভার্সিটি এন্ট্রান্স টেস্ট কোনও বোর্ড পরীক্ষায় বাধা তৈরি করবে না। এমনকী কোচিং সংস্কৃতিতেও কোনও আঘাত হানবে না এই পরীক্ষা।”
এছাড়াও,ইউজিসি জানিয়েছে, ” ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ), যা মূলত পরীক্ষা পরিচালনা করে, পরবর্তী সেশন থেকে বছরে দুবার সিইউইটি পরিচালনা করার বিষয়ে বিবেচনা করবে।”
আরও পড়ুন – বিএসএফের বাধায় পাট চাষ করতে পারছে না কৃষকরা, অবশেষে দ্বারস্থ হলেন মহকুমা শাসকের
এই বিষয়টি নিয়ে সংবাদসংস্থাকে দেওয়াএকটি সাক্ষাত্কারে, ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, “সিইউইটি শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভর্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না কারণ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ইঙ্গিত দিয়েছে যে তারা স্নাতক ভর্তির জন্য সাধারণ প্রবেশিকা পরীক্ষা থেকে স্কোর ব্যবহার করার জন্য বোর্ডে আসতে চায়।” এছাড়াও, তিনি আরো বলেন , “সিইউইটি যেহেতু এই বছরই প্রথম শুরু হচ্ছে, তাই এবছর একবারই পরীক্ষাটি নেওয়া হবে। তবে NTA পরবর্তী সেশন থেকে বছরে অন্তত দুবার পরীক্ষা পরিচালনা করার কথা বিবেচনা করবে। প্রবেশিকা পরীক্ষা শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে সীমাবদ্ধ থাকবে না, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতেও থাকবে।
“প্রসঙ্গত,তিনি জানান যে,টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সেস (টিআইএসএস) এবং জামিয়া হামদর্দ সহ আটটি ইউনিভার্সিটিও শিক্ষার্থীদের স্নাতক কোর্সে ভর্তির জন্য সিইউইটির স্কোর ব্যবহার করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। তাই এই বিষয়টি নিয়ে আটটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর এবং পরিচালকদের সাথে একটি বৈঠকেও বসেছে ইউজিসি।যদিও, যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিইউইটি গ্রহণ করতে চায়, তাদের নাম সংবাদমাধ্যমে জানান নি এই কেন্দ্রীয় সংস্থা।