করোনায় আর্থিক সংকটে ভুগছে স্কুলবাস মালিকরা

করোনায় আর্থিক সংকটে ভুগছে স্কুলবাস মালিকরা

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর দিনাজপুর , ৩জুন ২০২১: প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ রয়েছে স্কুল, আর সেইসময় থেকেই পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে আসাযাওয়া করার সমস্ত স্কুল বাস। চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন উত্তর দিনাজপুর জেলা সদর রায়গঞ্জ শহরের স্কুলবাস মালিকেরা। এরপরে স্কুল খুললেও বসে থাকা নষ্ট হয়ে যাওয়া বাসগুলি মেরামত করে আর চালানো সম্ভব হবেনা বলে আশঙ্কা স্কুলবাস মালিকদের। মিলছেনা বাসের ভাড়াও, অথচ ট্যাক্স, পারমিট, ইনসুরেন্সের জন্য দিনে প্রায় ৫০০ টাকা বাসের পেছনে খরচ হয়ে যাচ্ছে। আগামীদিনে সরকার সাহায্য না করলে স্কুলবাস চালানো সম্ভব হবেনা তাঁদের পক্ষে। এভাবে চলতে থাকলে না খেয়ে মরতে হবে হবে স্কুলবাস মালিকদের এমনটাই দাবি স্কুলবাস মালিকদের।

অতিমারি করোনার প্রথম ঢেউ আছড়ে পড়েছিল ২০২০ সালের মার্চ মাসে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশজুড়ে সমস্ত স্কুল কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। ২০২১ সালে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগে আনলক পিরিয়ড চললেও খোলেনি কোনও স্কুল কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ফলে দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে সমস্ত স্কুলবাস। স্কুল চত্বর কিংবা বাড়ির গ্যারেজে জরাজীর্ণ দশাগ্রস্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে স্কুলবাসগুলো। জঙ্গলাকীর্ণ স্কুলবাসের ছবি দেখা যাচ্ছে সর্বত্র। উত্তর দিনাজপুর জেলা সদর রায়গঞ্জ শহরে বিভিন্ন স্কুলের জন্য প্রায় ৪০ থেকে ৫০ টি স্কুলবাস চলত। এসব সমস্ত বাসই দীর্ঘদিন ধরে অচল অবস্থায় পড়ে থেকে নষ্ট হয়ে গিয়েছে বাসের টায়ার টিউব থেকে ব্যাটারি বা বাসের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ। ফলে দীর্ঘকাল ধরে আয় উপার্জনহীন হয়ে পড়ে রয়েছেন স্কুলবাসের মালিকেরা। স্কুল খুললেও নষ্ট হয়ে যাওয়া সেই স্কুলবাসগুলো পুনরায় মেরামত করে চালানো প্রচুর ব্যায়সাপেক্ষ ব্যাপার। সেটা আর স্কুলবাস মালিকদের পক্ষে সম্ভব হবেনা। বাস না চলায় স্কুল কর্তৃপক্ষ ভাড়াও দিচ্ছেনা। অথচ বাস রাস্তায় না চললেও তা বজায় রাখার জন্য সরকারকে ট্যাক্স, ফিটনেস ও ইনসুরেন্সের জন্য প্রতিদিন প্রায় ৫০০ টাকা ঘর থেকে দিতে হচ্ছে মালিকদের। ফলে একপ্রকার নিঃস্ব হয়ে গিয়েছেন স্কুলবাসের মালিকেরা। রায়গঞ্জ শহরের সুশান্ত বিশ্বাস নামে এক স্কুলবাস মালিক জানালেন, দীর্ঘদিন ধরে বাসগুলো অচল অবস্থায় পড়ে থাকায় নষ্ট হয়ে যেতে বসেছে। বাসের প্রায় যন্ত্রাংশই নষ্ট হতে বসেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে স্কুল চালু হলেও আদৌ তাঁরা আর সেই বাস মেরামত করে চালু করা সম্ভব হবেনা। এমতাবস্থায় সরকার যদি তাঁদের পাশে সাহায্য সহযোগিতার হাত না বাড়িয়ে দেয় একপ্রকার তাঁদের পরিবার নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে। শঙ্কা আদৌ কি অতিমারি করোনাকাল কোনওদিন শেষ হবে? আবার কি দেখা যাবে স্কুলবাসে কচিকাঁচাদের স্কুলে আসাযাওয়া? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন!

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top