তৃণমূলের কর্মীদের মারধরের অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূলের কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে।আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ কে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল। বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে গন্ডগোলের জেরে আহত হল বেশ কয়েকজন। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। রক্তাক্ত অবস্থায় আহতদের দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় হয়। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা অবনতি হলে তাকে কোচবিহারে স্থানান্তর করা হয়। আহতদের নুর ইসলাম মিয়া ও ময়নাল শেখ এই দুই তৃণমূল কর্মী গুরুতর আহত হয় বলে জানা গিয়েছে।
এই ঘটনায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তোলা হয়েছে। পাল্টা বিজেপির পক্ষ থেকেও এই ঘটনার সাথে দলের কোন সম্পর্ক নেই বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়েই হাসপাতালে ছুটে আসে তৃণমূল নেতা বিশু ধর, দিনহাটা পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সাবির সাহা চৌধুরী, যুব তৃণমূলের দিনহাটা শহর ব্লক নেতা পার্থ সাহা, লিটন মন্ডল থেকে শুরু করে অনেকেই। তৃণমূলের পক্ষ থেকে অবিলম্বে এই দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন – মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরে বিশ্ব শান্তি মহাযজ্ঞ
তৃণমূলের অভিযোগ, নিগমনগরে দলের সভা থেকে ফেরার পথে বিজেপি দলের দুষ্কৃতীরা তৃণমূল কর্মীদের প্রথমের বাইক ভাঙচুর করে এবার পরবর্তীতে আবার তাদেরকে। লোহার রড অস্ত্র এবং বাঁশ দিয়ে মারধর করা হয়। এতে তিনজন গুরুতর আহত হয় এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কা জনক।
তৃণমূল নেতা বিশু ধর জানান, বিজেপি দলের দুষ্কৃতীরা নানা ভাবে দিনার ডাকে অশান্ত করে তোলার চেষ্টা করছে। এরা সকলেই বিজেপি দলের পরিচিত দুষ্কৃতি। আমরা পাল্টা আঘাত করতে পারি কিন্তু দিনহাটার শান্তির যাতে কোন হয় বিকৃত না হয় তার জন্য প্রশাসনের উপর আস্থা রয়েছে। তবে অবিলম পুলিশ পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে আন্দোলনে নেওয়া হবে।
বিজেপির দিনহাটা শহর মন্ডল সভাপতি অজয় রায় বলেন ডায়মন্ড হারবারে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় আমবাড়িতে দলের একটা বিক্ষোভ মিছিল ছিল। সেই মিছিল শেষে আমরা সবাই ফিরে আসি। তারপর তৃণমূল নেতা উদয়ন নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বিজেপির মন্ডল সভাপতি বিদ্যুৎ সরকারের বাড়ি ভাঙচুর করে। সেই সময় ওই বাড়িতে কেউ ছিলেন না। তখনই নিজেদের দলের কর্মীদের লাঠির আঘাত হয়তো কারো লেগে যায়। তাতে নিজেদের দলের কর্মীদের আঘাতেই আহত হয় ওই দলের কর্মীরা। এই ঘটনার সাথে বিজেপির কোনো সম্পর্ক নেই। এদিকে ঘটনার পর দিনহাটা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী সেখানে ছুটে যায়। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে বলে জানা গিয়েছে।