কর্মী ছাঁটাই, ইলন মাস্কের মা ছেলের হয়ে ক্ষমা চান। ছাটাই নিয়ে বিশ্বের একনম্বর ধনীও ছাড়া পাননি। তার বিরুদ্ধে চারিদিকে কঠোর সমালোচনা চলছে। তাকে নানানদিক থেকে আক্রমণ করার চেষ্টা হচ্ছে। এসব দেখে তার মা মায়ে মাস্ক সবার কাছে আবেদন কলেছেন যে তার ছেলেকে যেন ঘৃণা না করা হয়। টুইটার অধিগ্রহণের পর প্রায় ৫০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করায় তার কড়া সমালোচনা চলছে চারিদিকে। বেশ বেকায়দায় পড়েছেন সংস্থার নতুন কর্তা ধনকুবের ইলন মাস্ক।
এই পরিস্থিতিতে ধনকুবের ছেলের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকে ‘জিনিয়াস’ আখ্যা দিলেন মা ‘মায়ে মাস্ক’। তাঁর দাবি, বিপুল সাফল্যের কারণে এত মানুষ তাঁর ছেলেকে ঘৃণা করেন ! সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম বিবিসি-র একটি তথ্যচিত্রের জন্য মায়ের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। সেখানে ইলন সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, টেসলা এবং স্পেসএক্স এই দু’টি সংস্থার বিপুল সাফল্যের কারণে বহু মানুষ তাঁর ছেলেকে পছন্দ করেন না। সকলের কাছে মায়ের আর্জি, ‘‘আমার ছেলে সত্যিই গুণী (জিনিয়াস)।
আপনারা দয়া করে ওর প্রতি এত কঠোর হবেন না।’’গত সপ্তাহে টুইটারের দায়িত্ব হাতে নেওয়ার পরেই সিইও পরাগ আগরওয়ালকে সরিয়ে দেন ইলন। এর পরেই সংস্থার ৭,৫০০ কর্মীর মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ কর্মীকে ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ছাঁটাইয়ের কারণ জানিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি জানিয়েছেন, সংস্থা লোকসানের মুখে পড়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, টুইটারে ব্লু টিক (নীল চিহ্ন) নিয়ে জটিলতাও তৈরি হয়েছে। গত বুধবারই বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সংস্থার অ্যাকাউন্টে নামের নীচে ‘অফিশিয়াল’ তকমা যোগ করেছিল টুইটার। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা তুলে নেওয়া হল।
আরও পড়ুন – কয়লা পাচার ও বেআইনিভাবে মজুতের অভিযোগে বীরভূমে গ্রেফতার ৬
কর্ণধার ইলন মাস্ক জানিয়ে দিলেন, পরীক্ষাটি ফলপ্রসূ হয়নি। সে কারণে তিনি নিজেই তা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। মাইক্রোব্লগিং সাইটটির পক্ষ থেকে আরও জানিয়ে দেওয়া হয়, ভবিষ্যতে টুইটারে যা যা চালু করা হবে সেগুলিকেও চূড়ান্ত বলে ধরে নেওয়ার কোনও কারণ নেই।