কলকাতাকে কয়েক যোজন পিছনে ফেলে এগিয়ে গেল জেলার স্কুলগুলো

কলকাতাকে কয়েক যোজন পিছনে ফেলে এগিয়ে গেল জেলার স্কুলগুলো

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

চিরাচরিত ছবির বদল হল না। চলতি বছর মাধ‍্যমিকের ফলেও কলকাতাকে কয়েক যোজন পিছনে ফেলে এগিয়ে গেল জেলার স্কুলগুলো। গত কয়েক বছরের মত এবারেও মেধা তালিকার শীর্ষে একাধিক জেলার ছাত্র ছাত্রীরা। সার্বিক ফলাফলের বিচারেও অনেক এগিয়ে দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়ার মত জেলা। গত বারের থেকে ভালো ফল করল উত্তরের বিভিন্ন জেলাও।

 

প্রথম সহ মেধা তালিকায় বাঁকুড়ার ১৩

যুগ্ম ভাবে প্রথম সহ মাধ্যমিকে রাজ্যের মেধা তালিকায় স্থান পেল বাঁকুড়ার তেরো জন পড়ুয়া । রাজ্যে যুগ্ম ভাবে প্রথম হয়েছে বাঁকুড়া রামহরিপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপিঠের ছাত্র অর্নব গরাই । তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩ । মেধা তালিকায় অর্নব ছাড়াও রাজ্যের মেধা তালিকায় সপ্তম স্থানে রয়েছে বিষ্ণুপুর হাইস্কুলের পড়ুয়া জ্যোতির্ময় মন্ডল । জ্যোতির্ময়ের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৭ । একই নম্বর পেয়ে যুগ্ম ভাবে সপ্তম হয়েছে হরিগ্রাম গোয়েঙ্কা হাইস্কুলের সোহম লায়েক । বিবড়দা সচ্চিদানন্দ বিদ্যাপিঠের সিঞ্চন দত্তও একই নম্বর পেয়ে রাজ্যে যুগ্ম ভাবে সপ্তম স্থান দখল করেছে । ৬৮৬ নম্বর পেয়ে রাজ্যের মেধা তালিকায় যুগ্ম ভাবে অষ্টম স্থানে রয়েছে বিষ্ণুপূর হাইস্কুলের ব্রাত্য বোস । ব্রাত্য পেয়েছে ৬৮৬ । ৬৮৬ নম্বর পেয়ে যুগ্ম ভাবে রাজ্যের মেধা তালিকায় অষ্টম স্থানে আছে বাঁকুড়ার ইন্দপুর গোয়েঙ্কা হাইস্কুলের অনিমেষ লায়েক । ৬৮৫ নম্বর পেয়ে রাজ্যের মেধা তালিকায় নবম স্থানে আছে বাঁকুড়ার পাঁচ পড়ুয়া । তারা হল লটিয়াবনি অঞ্চল হাইস্কুলের স্বরুপ কর্মকার , বাঁকুড়া জিলা স্কুলের ব্রিজেশ লোহার , লক্ষ্মীসাগর হাইস্কুলের পার্থিব কোটাল , তালডাংরা ফুলমতি হাইস্কুলের অনুভব সেন ও সিমলাপাল মদন মোহন হাইস্কুলের সোহম সতপতি । ৬৮৪ নম্বর পেয়ে রাজ্যের মেধা তালিকায় যগ্ম ভাবে দশম স্থানে রয়েছে বাঁকুড়ার দুই পরীক্ষার্থী । এর হল বাঁকুড়া মিশন গার্লস হাইস্কুলের প্রত্যুষা কুন্ডু ও বাঁকুড়া জিলা স্কুলের সৌমিক ধবল।

 

অভাবনীয় ফল পূর্ব বর্ধমানে

ভবিষ্যতে চিকিৎসক হতে চায় রাজ্যে অন্যতম প্রথম বর্ধমানের রৌনক মন্ডল। এবার সে মাধ্যমিকে ৬৯৩ নম্বর পেয়েছে। বর্ধমানের সিএমএস হাইস্কুলের এই কৃতী ছাত্র রৌনক। শহর বর্ধমানের সিএমএস স্কুল থেকে প্রথম স্থান শুধু নয় দশম স্থান লাভও করেছে এই স্কুল থেকে। এছাড়া বর্ধমান শহরের বিদ্যার্থী ভবন গার্লস হাইস্কুল থেকে পঞ্চম, মিউনিসিপ্যাল গার্লস স্কুল থেকে ষষ্ঠ এবং বর্ধমান টাউন স্কুল ও বর্ধমান বয়েজ স্কুল থেকে যুগ্ম ভাবে নবম স্থান লাভ করেছে। বাদ যায় নি কাটোয়া। কাটোয়ার কাশীরামদাস বিদ্যায়তনের নাম মেধাতলিকায়। ওই স্কুলের ছাত্র কাটোয়া শহরের বাসিন্দা সুরথ ঘোষ যুগ্মভাবে ৬৮৫ নম্বর পেয়ে মাধ্যমিকে নবম স্থান দখল করেছে। কাটোয়ার আলমপুর গ্রামপঞ্চায়েতের গোয়ালপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৌদীপ ঘোষ আলমপুর হরিমোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। সেও যুগ্মভাবে মাধ্যমিকে নবম স্থান দখল করেছে।

 

দশম হাওড়ার সাত্ত্বিক নদীয়ার সুকন‍্যা চায় ইঞ্জিনিয়ার হতে

বাবা মা দু’জনেই চিকিৎসা জগতের পেশায় যুক্ত। ছেলের স্বপ্ন বড়ো হয়ে ইঞ্জিনিয়ার হবে। মাধ্যমিকে দশম হাওড়ার সাত্ত্বিক সরকার পড়াশোনার বাইরে রহস্য গল্প, সানডে সাসপেন্স শুনতে আগ্রহী। রাজ্যের মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবার দশম স্থান অধিকার করেছে হাওড়ার সাত্ত্বিক সরকার। সে পেয়েছে ৬৮৪। হাওড়া জেলা স্কুলের ছাত্র সাত্বিকদের আদি বাড়ি হাওড়ার আন্দুলের দ্যুঁইল্যা নবনগর এলাকায়। তারা বর্তমানে থাকে ব্যাঁটরায় বৃন্দাবন মল্লিক লেনের একটি আবাসনে। তার এই অভাবনীয় সাফল্যে খুশি পাড়া-প্রতিবেশী থেকে শুরু করে তার পরিবারের সকলে। ইতিমধ্যেই তাকে স্কুলের শিক্ষকরা ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন। মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় দশম স্থান পেলো রানাঘাটের সুকন্যা দেবনাথ।তার প্রাপ্ত নম্বর 684.সুকন্যা এবার মাধ্যমিকে নদীয়ায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে।সে সায়েন্স নিয়ে পড়তে চাইলেও সে বড় ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়।

 

মাধ্যমিকে তৃতীয় আসানসোলের অনন্যা

রানীগঞ্জের গির্জা পাড়া রহমত নগরের বাসিন্দা মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী অনন্যা দাশ গুপ্ত এবার পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয় স্থান দখল করলো মাধ্যমিকে। বাড়ির মেয়ের এই অভাবনীয় সফলতায় খুশি পরিবারের প্রতিটি সদস্য, মিষ্টিমুখ করে একে অপরকে মিষ্টি খাইয়ে তারা এই সফলতায় উচ্ছ্বসিত হলেন এদিন।মাধ্যমিকে মেধাতালিকায় ষষ্ঠ স্থান অধিকার করল আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশনের সৈকত গাঙ্গুলী। আসানসোলের সুগম এলাকার বাসিন্দা সৈকতের বাবা রেলকর্মী মা পিয়া গাঙ্গুলি গৃহবধূ ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে। মোট তিনজন গৃহশিক্ষক ছিল সৈকতের। তবে পড়ার কোনো নির্দিষ্ট সময় ছিল না। আগামী দিনের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য সৈকতের বার্তা যেটুকু সময় পড়া হোক না কেন সেটা মনযোগ দিয়ে পড়া উচিত। ভবিষ্যতে চিকিৎসক হতে চায় সৈকত। তবে পেশাগতভাবে নয় রামকৃষ্ণ মিশনের দর্শনে দীক্ষিত সৈকত সেবার কাজের জন্য আগামী দিনে চিকিৎসক হতে চান। সৈকতের বাবা-মাও জানিয়েছেন পেশাগতভাবে যাই হোক না কেন সৈকত কিন্তু আগে বড় মানুষ হোক।

 

মাধ‍্যমিকে দ্বিতীয় মেয়েদের মধ‍্যে প্রথম মালদার কৌশিকী

মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যে দ্বিতীয় স্থান দখল করলো মালদা গাজোল ব্লকের ছাত্রী কৌশিকী সরকার । সে আদর্শবাণী একাডেমী স্কুলের ছাত্রী। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯২। একই সঙ্গে রাজ্যে মেয়েদের মধ্যে প্রথম হয়েছে কৌশিকী। এছাড়াও মাধ্যমিকে রাজ্যের চতুর্থ স্থান দখল করেছে মালদা শহরে অবস্থিত রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের ছাত্র অভিষেক গুপ্তা। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯০। এছাড়াও ওই স্কুলের ছাত্র শুভজিত বিশ্বাস মাধ্যমিকের দশম স্থান অধিকার করেছে।  তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৪। পাশাপাশি কালিয়াচকের বেদরাবাদ হাইস্কুলের ছাত্র ফাইজ মাসুদ ৬৮৪  নম্বর পেয়ে এবারে মাধ্যমিকে রাজ্যে দশমিক স্থান অধিকার করেছে।

 

মেধা তালিকায় কোচবিহারের দিনহাটার ৬ পড়ুয়া

এবারের মাধ্যমিকে দিনহাটার জয়জয়কার। দিনহাটা শহরের ঐতিহ্যবাহী গোপালনগর এমএসএস উচ্চ বিদ্যালয়ের ফলাফল এবার জেলার মধ্যে নজর কাড়লো। একই স্কুল থেকে বিভিন্ন স্থানে উঠে এলো 6 জন ছাত্র-ছাত্রী। জানা গেছে, ৬৮৯ পেয়ে পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে দুজন দেবদত্ত কুন্ডু ও ধ্রুবজ্যোতি সাহা, ৬৮৭ পেয়ে সপ্তম স্থান অধিকার করেছে অনন্যা দেব ও সৃজিতা মজুমদার, ৬৮৬ পেয়ে অষ্টম স্থান অধিকার করেছে রনি বর্মন এবং ৬৮৪ পেয়ে দশম স্থান অধিকার করেছে সায়ন্তিকা বর্মন। সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক আক্কাজ আলী জানান, বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা এবারের মাধ্যমিকে বেশ ভাল ফলাফল করেছে। বিগত বছরেও স্কুল মাধ্যমিকে রাজ্যের স্থান অধিকার করেছে। এদিন স্কুলের কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে আনন্দে উচ্ছাসে মেতে ওঠেন ছাত্রছাত্রীরা পরবর্তীতে স্কুল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তাদেরকে নিয়ে দিনহাটা শহরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয় ব্যান্ডপার্টি র আয়োজন করা হয়।

 

অভাবকে হারিয়ে মাধ্যমিকে তৃতীয় এগরার দেবশিখা

সকল প্রতিবন্ধকতাকে পেছনে ফেলে মাধ্যমিক পরীক্ষায় সারা রাজ্যের মধ্যে মেধা তালিকায় স্থান করে নিয়েছে দেবশিখা।পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরার বাসিন্দা এই কৃতি ছাত্রী।বাবা গৃহশিক্ষকতা করে কোনরকম সংসার চালান। মাধ্যমিকের আগে অ্যাসবেস্টসের ছাদের তলায় রাতদিন এক করে নিজের অধ্যাবসায় চালিয়ে গেছে দেবশিখা। আর সেই অধ্যাবসায়ের ফল অবশেষে হাতেনাতে মিলল শুক্রবার। মাত্র একটি টিউশন নিয়ে এরূপ ফলে দেবশিখা তাক লাগিয়ে দিয়েছে গোটা জেলাকে।
দিপশিখা প্রধানের সাফল্যে খুশী তার বিদ্যালয়ও।স্কুলের শিক্ষক পার্থপ্রতিম মুখার্জি জানান, “প্রথম থেকেই দেবশিখা মেধাবী ছাত্রী। শিক্ষক হিসেবে খুবই ভালো লাগছে এইরূপ ফলে।” দেবশিখার মোট প্রাপ্ত নম্বর ৬৯০। যার মধ্যে বাংলায় ৯৭, ইংরেজিতে ৯৯, অঙ্কে ১০০, ইতিহাসে ৯৮, ভৌত বিজ্ঞানে ৯৯, জীবন বিজ্ঞানে ৯৯ এবং ভূগোলে ৯৯।

আরও পড়ুন – রাজভবন চলো ডাক অধীর রঞ্জন চৌধুরীর

জয়নগর জে এম ট্রেনিং স্কুল থেকে মাধ্যমিকে সপ্তম, অষ্টম

রাজ্যে সপ্তম ও যুগ্মভাবে অষ্টম স্থানের অধিকারী তিন কৃতি ছাত্র অপূর্ব নস্কর, সোহম পাল ও শাশ্বত নাইয়া। জয়নগর-মজিলপুর জে এম ট্রেনিং স্কুলের ছাত্র এরা। তাঁদের এই কৃতিত্বে জয়নগরে নেমেছে খুশির আমেজ। অপূর্ব মানুষের সেবা করতে চিকিৎসক হতে চায়, গ্রামে গিয়ে মানুষের চিকিৎসা করতে চায় সে। অন্যদিকে, শাশ্বত ও সোহম হতে চায় বিজ্ঞানী। প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর মণ্ডল বলেন, আমাদের স্কুল বহুদিনের নামী স্কুল। প্রতিবছরই ভালো ফলাফল হয়। রাজ্যে ১১ তম র‍্যাংক করতে আমরা করতে পেরেছিলাম। তিন কৃতিই বরাবরই ক্লাসে প্রথম তিনের মধ্যে ছিল। কয়েক যোজন

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top