কলকাতা – প্রতিদিন কলকাতা শহরে বিভিন্ন হাসপাতাল, নার্সিংহোম এবং প্যাথলজিক্যাল ল্যাব থেকে টন টন চিকিৎসা-বর্জ্য তৈরি হয়। এতদিন এই বর্জ্য সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াকরণের দায়িত্বে ছিল একটি বেসরকারি সংস্থা, যাদের মোটা অঙ্কের টাকা দিতে হতো স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে। তবে এবার সেই ছবিতে আসছে বড় পরিবর্তন। শহরের সমস্ত চিকিৎসা-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিজেদের হাতে তুলে নিতে চলেছে কলকাতা পুরসভা।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ধাপার মহিষতলায় প্রায় তিন একর জমিতে একটি অত্যাধুনিক চিকিৎসা-বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে পুরসভা। একসময় রাজ্য সরকারের একটি সংস্থাকে এই জমি লিজে দেওয়া হয়েছিল, যা খুব শিগগিরই পুরসভার হাতে ফিরে আসবে। এরপর পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) মডেলে এই ইউনিট তৈরির কাজ শুরু হবে।
পুরসভার জঞ্জাল সাফাই ও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ জানিয়েছে, নতুন ইউনিটের মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় ৪০ হাজার শয্যার সমান চিকিৎসা-বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ করা সম্ভব হবে। এর মধ্যে হাসপাতালের বেড ছাড়াও প্যাথলজিক্যাল ল্যাব এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে উৎপন্ন বর্জ্যও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। বর্তমানে বেসরকারি সংস্থাটি প্রতি বেড পিছু প্রায় আট টাকা করে নেয়, যা হাসপাতালগুলির জন্য একটি বড় খরচ। পুরসভার এই নতুন উদ্যোগের ফলে একদিকে যেমন চিকিৎসা-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার খরচ কমবে, তেমনই সরকারের জন্য একটি নতুন আয়ের পথও তৈরি হবে।
পুরসভার পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, যেসব মেডিক্যাল সেন্টারে বেড নেই, সেখানে দৈনিক পরিষেবা নেওয়া রোগীর সংখ্যার ভিত্তিতে বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের খরচ নির্ধারিত হবে। ইতিমধ্যে একটি পরামর্শদাতা সংস্থা নিয়োগ করা হয়েছে এবং জমি হাতে এলেই টেন্ডার ডাকার প্রক্রিয়া শুরু হবে। এই পদক্ষেপ শহরের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় এক বড় পরিবর্তন আনতে চলেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।
