খেলা – এই মরশুমে কলকাতা লিগে প্রথম অঘটনের সাক্ষী রইল বঙ্কিমাঞ্জল স্টেডিয়াম। নৈহাটিতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে মোহনবাগান সুপারজায়ান্টসকে ১-০ গোলে হারিয়ে চমক দিল পুলিশ অ্যাথলেটিক ক্লাব। ম্যাচের প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ছন্দে খেলতে দেখা যায় পুলিশের দলকে, যেখানে দুই প্রাক্তন মোহনবাগান ফুটবলার শুভ ঘোষ ও শেখ সাহিলের পারফরম্যান্স ছিল উল্লেখযোগ্য।
মোহনবাগানের হয়ে মাঝমাঠে মিংমা শেরপার কিছু মুহূর্তে নজর কাড়লেও, গোটা দলের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাব এবং একাধিক মিস পাস ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে (৪৮ মিনিটে) পুলিশের হয়ে একমাত্র এবং জয়সূচক গোলটি করেন বছর ২১-এর আসানসোলবাসী মহম্মদ আমিল। এই গোলটি সবুজ-মেরুন রক্ষণের দুর্বলতা প্রকাশ্যে আনতে যথেষ্ট ছিল।
দ্বিতীয়ার্ধেও মোহনবাগানের রক্ষণে দৃঢ়তা দেখা যায়নি। বরং, পুলিশ দল আরও আক্রমণাত্মক খেলায় মনোনিবেশ করে। শেষের দিকে শিবম মুন্ডার কাছে গোলের সুযোগ এলেও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন তিনি। ১-০ ব্যবধানে হেরে লিগ অভিযান শুরু করল ডেগি কার্ডোজোর দল।
ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলনে মোহনবাগান কোচ ডেগি কার্ডোজো বলেন, “আমরা অনেক দেরিতে অনুশীলন শুরু করেছি। আরএফডিএলের খেলার কারণে খেলোয়াড়দের মধ্যে এখনও বোঝাপড়া তৈরি হয়নি। তাদের ফিটনেস লেভেল বাড়ানো জরুরি।” তবে পরবর্তী ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর আশাবাদও প্রকাশ করেন তিনি।
জয়সূচক গোলের নায়ক মহম্মদ আমিল ম্যাচ শেষে বলেন, “আমি খুব খুশি। ভবিষ্যতে বড় দলের হয়ে খেলার ইচ্ছা আছে।” অন্যদিকে, প্রাক্তন মোহনবাগান মিডফিল্ডার শেখ সাহিল বলেন, “সমর্থকদের দেখে ভালো লাগছে। আবার সেই ২০১৯-২০ মরশুমের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে।”
মোহনবাগানের পরাজয়ে ক্ষুব্ধ সমর্থকদের একাংশ ম্যাচ শেষে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন এবং কোচ কার্ডোজোর বিরুদ্ধে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান তোলেন।
প্রসঙ্গত, রবিবারের ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গল যেখানে মেসার্স ক্লাবকে ৭-১ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে, সেখানে মোহনবাগানের এমন হার স্বভাবতই দুই প্রধানকে মৌসুমের শুরুতেই দুই বিপরীত মেরুতে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।
