দক্ষিন 24 পরগণা – দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের সুপরিচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সুন্দরবন মহাবিদ্যালয় বর্তমানে তীব্র বিতর্কের মুখে। অভিযোগ উঠেছে, কলেজ চত্বরে এক বহিরাগতের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে এবং সেই অনুষ্ঠান কলেজ ইউনিয়ন রুমের সামনে বসানো হয়েছে বলে দাবি। ঘটনাটি সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিক্ষামহল থেকে রাজনৈতিক মহলে।
সূত্রের দাবি, যিনি এই বিয়ে করেছেন, তিনি কলেজের প্রাক্তন ছাত্র নেতা এবং বর্তমান বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। মন্টুরাম পাখিরা বর্তমানে কলেজ পরিচালন সমিতির চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন। এই প্রসঙ্গে উঠছে প্রশ্ন, তাঁর আশীর্বাদ ছাড়া কলেজ চত্বরে এমন ঘটনা কীভাবে ঘটল?
সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়ে গেছে বিয়ের ছবি, যা কাকদ্বীপ কলেজের বর্তমান জেনারেল সেক্রেটারির (জিএস) সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকেই পোস্ট করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও ঘটনার সত্যতা সামনে এনেছে এবিভিপি নেতা নিপুন দাস। তাঁর কথায়, “ইউনিয়ন রুমের সামনে মালাবদল হয়েছে, এটা কি মানা যায়? কলেজ তো কোনও ব্যক্তিগত অনুষ্ঠান করার জায়গা নয়।”
কলেজের অধ্যক্ষ ড. শুভঙ্কর চক্রবর্তী ঘটনাটি স্বীকার করে জানান, “যেদিন বিয়ের ঘটনা ঘটে, আমি কলেজে উপস্থিত ছিলাম না। বিকেল ৫টার পর খবর পেয়ে নিরাপত্তারক্ষীকে বলি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। তিনি জানান, কেউ বিয়ে করে কলেজে ঢুকেছে এবং কিছুক্ষণ হুল্লোড় করেছে। তখনই নির্দেশ দিই যেন তাদের বের করে দেওয়া হয় এবং সামনের গেট বন্ধ রাখা হয়।”
অধ্যক্ষ আরও জানান, দক্ষিণ প্রান্তের পাঁচিলটি তুলনামূলকভাবে নিচু হওয়ায় বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ আগেও হয়েছে। তবে বিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসের ভেতরে হয়েছে কি না, তা তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে তিনি অবহিত করেছিলেন বলেও দাবি করেন।
অন্যদিকে, কাকদ্বীপের বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা বলেন, “এই বিষয়ে আমি কিছু জানি না, আমার কোনও অবগতিও নেই।”
এখন প্রশ্ন উঠছে, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন ঘটনা কীভাবে ঘটল? এবং রাজনীতির ছায়া থাকলে, তা কতটা প্রভাব ফেলছে কলেজ প্রশাসনের উপর? এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্র রাজনীতি এবং কলেজ পরিচালন ব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিয়েও নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
