কল্যাণী রথতলা সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির ৫৯ তম বর্ষের ভাবনা গুজরাটের নীলকন্ঠ মন্দির। নদীয়ার কল্যানী রথতলা সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি এবারের পূজা ভাবনা গুজরাটের ‘নীলকন্ঠ মন্দির’। ৫৯ তম বর্ষে পদার্পণ করলো এই পূজা কমিটি। এই দুর্গাপুজটিতে মূলত ভিড় জমায় নদীয়া, উত্তর ২৪ পরগনা এবং হুগলির দর্শনার্থীরা।
এই তিনটি জেলার সংযোগস্থলে পুজো মণ্ডপটি হয় বলে ভিড় থাকে চোখে পড়ার মতো। তাই পূজা কমিটির স্বেচ্ছাসেবকদের নজর থাকে আগত দর্শনার্থীদের স্বাচ্ছন্দ ও নিরাপত্তার উপর। এই পুজো কমিটির অন্যতম কর্মকর্তা এবং সম্পাদক বিপ্লব দে (সজল) আমাদের জানান যে এই বারের পুজোর বাজেট আনুমানিক ২৫ লক্ষ টাকা এবং সেই খাতের মধ্যে থেকেও তারা প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও পুজোর আগে দুস্থদের হাতে তুলে দেবেন কিছু নতুন কাপড়-জামা।
আরও পড়ুন – চা ও ঘুঘনি মুড়ি বিতরণ করে কংগ্রেসের প্রতীকী প্রতিবাদ সামশেরগঞ্জে
প্রশ্ন করা হলে তারা সরাসরি জানান যে তারা এটাকে দান বলতে নারাজ। তাদের দাবি পিছিয়ে পড়া মানুষদের পাশে দাঁড়ানো কমিটির মূল লক্ষ্য। সারা বছর ধরে সেই কাজটিই করে আসে রথতলা সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক কার্যকলাপের মধ্য দিয়ে, যেমন- বিনামূল্য চক্ষু পরীক্ষা শিবির, বিনামূল্যে চশমা প্রদান, বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির, রক্তদান শিবির ইত্যাদি।
তিনি আরো জানান যে এই পুজোর উদ্বোধন করবেন পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ এই পূজার শুভ উদ্বোধন হবে মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরেই। মন্ডপ সজ্জার দায়িত্বে আছেন পূর্ব মেদিনীপুরের হেড়িয়ার আশীর্বাদ ডেকোরেটর্স্। মূর্তি তৈরি করেছেন কৃষ্ণনগর ঘূর্ণির বিখ্যাত মৃৎশিল্পী শংকর পাল। প্রতিবারের ন্যায় আলোকসজ্জার দায়িত্ব থাকবেন মন্ডল লাইট এন্ড সাউন্ড।
ভিড় সামলানো এবং নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে প্রায় ১০০ এরও উপর স্বেচ্ছাসেবক এবং বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীরা। সাথে পুলিশ ও দমকলের কর্মীরাও থাকবেন তাদের সাহায্য করার জন্য। এই পূজা নিয়ে বসে এক বিরাট মেলা। দোকান সাজিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা। অবিভক্ত নদিয়া জেলার অন্যতম সেরা পুজো হওয়ার দৌড়ে রয়েছে এই রথতলা সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি তা বলার অপেক্ষা রাখে না।