কল আছে কিন্তু জল নেই !

কল আছে কিন্তু জল নেই !

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

মালদা –  গ্রামে দীর্ঘ দু’মাস ধরে পিএইচই’র জল সরবরাহ বন্ধ। মাঠ থেকে স্যালো মেশিনের জল এনে খেতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। সমস্যা সমাধানে কোনও উদ্যোগ নেই প্রশাসনের। বৈশাখের গরমে পানীয় জল সংকটে চরম সমস্যায় হরিশ্চন্দ্রপুর‌ ১ ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নাজিরপুর গ্রামের মানুষ। তাই রবিবার সকালে জলের দাবিতে গ্রামের রাস্তায় নেমে খালি বালতি হাতে নিয়ে বিক্ষোভে শামিল হলেন এলাকাবাসী। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,দেড় বছর আগে ভিঙ্গোল গ্রাম পঞ্চায়েতের বৈরাট জল সরবরাহ প্রকল্পটি চালু হয়। সেই প্রকল্প থেকে নাজিরপুর গ্রামের মানুষ জল পাচ্ছিলেন। আট মাস ধরে জল পেয়েছেন। এরপর দীর্ঘ দু’মাস ধরে আর জল পাচ্ছেন না। অন্যান্য গ্রামে জল সরবরাহ হলেও এই গ্রামের মানুষ পানীয় জল থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। পিএইচই দপ্তর থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি একাধিকবার জানানো হলেও কোনও হেলদোল নেই প্রশাসনের। বাসিন্দাদের অভিযোগ,বাড়ি বাড়ি প্রকল্পের পাইপ লাইনের সংযোগ থাকলেও দীর্ঘ দুই মাস ধরে বাড়িতে জল আসে না। সরকারি নলকূপে আয়রণ বেশি থাকার কারণে জলপান করার উপযোগী নয়। নিজের বাড়ির ট্যাপে জল না পাওয়ায় হাফ কিলোমিটার দূরে স্যালো মেশিনের জল এনে খেতে হয়।স্থানীয় বাসিন্দা তফিজুল ইসলাম বলেন, গ্রামে ১৬০ টি পরিবার রয়েছে। ১০০ টি পরিবারে ট্যাপ কল কানেকশন হয়েছে। বাকি ৬০ টি পরিবারে এখনও কানেকশন হয়নি। দুই মাস ধরে জল বন্ধ রয়েছে। গ্রামে চারটি নলকূপ থাকলেও জল ঠিকভাবে উঠে না। আর সেই আয়রন যুক্ত জল খাওয়ার উপযুক্ত নয়। আরেক বাসিন্দা নাসিমা পারভিন বলেন, আমার বাড়িতে এখনও ট্যাপ কল কানেকশন হয়নি। মাঠ থেকে স্যালো মেশিনের জল এনে খেতে হচ্ছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য আব্দুল হাইয়ুম বলেন, প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো সত্ত্বেও কেউই গুরুত্ব দিচ্ছেন না। পিএইচই’র চাঁচল মহকুমার সহকারী ইঞ্জিনিয়ার সুমিত ঘোষ বলেন, কি কারণে জল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে খোঁজ নিয়ে দেখছি।

RECOMMENDED FOR YOU.....