কলকাতা – কসবা থানার সাব-ইন্সপেক্টর রিটন দাসের একটি লাথি এখন রাজ্যজুড়ে সমালোচনার ঝড় তুলেছে। গত ৯ এপ্রিল কসবার ডিআই অফিসে চাকরি বাতিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভরত শিক্ষক অমিতরঞ্জন ভুঁইয়ার পেটে লাথি মারেন তিনি। এ ঘটনায় পুলিশ ও রাজ্য প্রশাসন চাপের মুখে। পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা বলেন, “এটা অগ্রহণযোগ্য।তদন্ত চলছে।” তবে, এখনও রিটনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার খবর পাওয়া যায়নি।
রিটন দাসের ‘গরম মাথা’ নিয়ে পুলিশ মহলেই গুঞ্জন। সহকর্মীরা জানান, তাঁর আগ্রাসী আচরণ নতুন নয়। অতীতে শিলিগুড়ির এক ব্যাঙ্কে ম্যানেজারের সঙ্গে তর্ক, গাড়িচালকদের সঙ্গে ঝামেলায় তিনি জড়িয়েছেন। তবে, তদন্তকারী হিসেবে তাঁর দক্ষতা প্রশংসিত। বেহালার বীণা মজুমদার হত্যা মামলা ও একটি হাই-প্রোফাইল চুরির তদন্তে তিনি সাফল্য দেখিয়েছেন। কিন্তু, শিক্ষক ভুঁইয়া বলেন, “আমি কোনও অপরাধ করিনি। এমন অপমান সহ্য করব না। শাস্তি চাই।”এ ঘটনা পুলিশের আচরণ ও জনগণের প্রতি দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তদন্তের ফলাফল এবং রিটনের শাস্তি কী হবে, তা নিয়ে সবার নজর এখন প্রশাসনের দিকে।
