কোলকাতা:- কসবা কান্ডে বিস্ফোরক কলকাতা পৌরসভা। এদিন কলকাতা পৌরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের সদস্য ও বিধায়ক অতীন ঘোষ বলেছেন, কসবা এলাকায় বহু মানুষ ভ্যাকসিন নিয়েছেন কিন্তু তাদের কাছে কোন মেসেজ বা তথ্য কিছুই দেওয়া হয়নি। রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকার এবং কলকাতা পৌরসভার ছাড়া ভ্যাকসিনের কোন বিষয়ে বাইরের কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না।ভ্যাকসিনের নিয়মে কোথাও বলা নেই। কেউ ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্প করলে তাকে কলকাতার পৌরসভার অনুমতি নিতে হবে। এমন বলা নেই। মিথ্যা প্রচার অসত্য প্রচার করা হচ্ছে। মিমি চক্রবর্তীর ভ্যাক্সিনেশন হবার পর কলকাতা পৌরসভার কাছে এ বিষয়ে সমস্ত তথ্য বা নজরে এসেছিল। মোট ১১০ জন ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাদের মধ্যে ৭০ জনের রিপোর্ট কলকাতা কর্পোরেশনের কাছে এসে পৌঁছেছে। সেই রিপোর্টে বেশ এসেছে কয়েক জনের শরীরে স্কিনের দাগ। গা ব্যথা রয়েছে তাছাড়া ও মেজর কোন অসুবিধা নেই।

যারা ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন তারা কখনোই কলকাতা পৌরসভা কে জানাই নি। অতএব যারা নিয়েছেন এই ভ্যাকসিন দায় তাদের।ভ্যাকসিনের মধ্যে আদৌ কি ছিল। সেটা ল্যাবরেটরীতে পাঠানো হয়েছে। সেই তথ্য আসলে পুরোটা জানা যাবে। আসলে এই ভ্যাকসিনের মধ্যে কি কি রয়েছে। এ ধরনের ভুয়া ভ্যাকসিন চলছিল তা খবর ছিল না কলকাতা পৌরসভার কাছে।সাধারণত কোভিড ভ্যাকসিন যে রকম হয় সে রকম ছিলনা। ডাষ্টের সঙ্গে লিকুইড মিশিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। কোন তারিখ ছিল না। ব্যাচ নাম্বার বা এক্সপায়ারি ডেট কিছুই ছিল না। এমনকি কোম্পানির নামও ছিল না এই ভ্যাকসিনে। গ্রীন একটি কাগজে মোড়ানো শুধুমাত্র কোভিশিল্ড লেখা ছিল। পাউডার এর সঙ্গে জল মিশিয়ে তৈরি করা হয়েছে। একে বলা হয় রিকম্বিনেশন ভ্যাকসিন। সাধারণত কোভিশিল্টের সাইজ একটু বড় হয় তবে ভুয়ো কোভিশিল্ডের সাইজ অনেকটাই ছোট।