কলকাতা – কসবা ল কলেজের ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রের নামে ১২টি আগের মামলা থাকা সত্ত্বেও কেন কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল আলিপুর আদালত। মঙ্গলবার ধৃতদের আদালতে পেশ করার সময় সরকারি আইনজীবী জানান, মনোজিতের বিরুদ্ধে আগে থেকেই মারপিট, ঝামেলা এবং মহিলাদের সঙ্গে খারাপ আচরণের একাধিক অভিযোগ ছিল। আদালত জানতে চায়, এতগুলি মামলা চলার পরও পুলিশ কেন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
সরকারি আইনজীবীর মতে, অভিযুক্তরা প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারেনি। মনোজিৎকে কসবা থানার আরও দুটি পুরনো মামলায় ফের গ্রেপ্তার করা হয়, যদিও চার্জশিট জমা পড়ে থাকায় আদালত তাঁকে সেই মামলায় জামিন দেয়।
এই দিন মনোজিৎ ছাড়াও অভিযুক্ত জইব আহমেদ, প্রমিত মুখোপাধ্যায় এবং নিরাপত্তারক্ষী পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আদালতে পেশ করা হয়। চারজনকেই ৫ অগস্ট পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এদিন ‘গেট প্যাটার্ন’ বিশ্লেষণের মাধ্যমে সিসিটিভি ফুটেজে অভিযুক্ত শনাক্তের প্রস্তুতির কথাও জানানো হয়।
