কাঁটাতারের বেড়াজালে ফেঁসে প্রায় ৪০টি পরিবার। ভারত-বাংলাদেশ বর্ডার গোবিন্দপুর অঞ্চলের হুদোপাড়া। এই জায়গা দিয়েই চলে গিয়েছে ভারত-বাংলাদেশের কাঁটাতারের বেড়া। তবে এই কাঁটাতারের ওপারে রয়েছে প্রায় ৪০টি ঘর পরিবারের বাস। এই পরিবারগুলো বর্তমানে রয়েছেন বেশ কিছু সমস্যায়। রাজ্যের এবং দেশের মধ্যবিত্ত থেকে নিম্নবর্তী মানুষদের সরকার থেকে দেওয়া হয় একাধিক সুযোগ সুবিধা, যেগুলি বেশিরভাগই পৌঁছাতে পারে না তাদের কাছে। সামান্য চালটুকু আনার জন্য তাদের আসতে হয় কাঁটাতারের এপারে।
সীমান্ত রক্ষী বাহিনী গেট খুললে তারপরই তারা আসতে পারে এইপারে। সরকারের অনেক প্রকল্পেরই সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকে ওই পরিবারগুলি। সরকারের আবাস যোজনার ঘর পর্যন্ত তারা পাননি বলে দাবি বাসিন্দাদের। এলাকার বেশকিছু গ্রামবাসীরা জানান, সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বেশিরভাগ সময়ই বন্ধ করে রাখেন গেট। ফলে, একাধিক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় তাদের। সেই কারণে ওই এলাকায় কেউ বিয়ের সম্মন্ধ করতে চান না। এছাড়াও কাঁটাতারের ওপারে কোন ব্যক্তির মৃত্যু হলে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করতেও একাধিক অসুবিধায় পড়তে হয় তাদের।
আরও পড়ুন – ঘরে নিদারুণ অভাব, তবুও সুব্রত কাপ জিততে মরিয়া বুধু সরেন, জিৎ সরেনরা
ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা স্কুলে সময় মত যেতে পারে না। রেশন থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পেতে সীমান্তের এপারে আসতে দিতে হয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে একাধিক জবাবদিহি। সেই কারণে, অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত থেকে যায় তারা বলে জানালেন সেই গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও এই বিষয়ে কৃষ্ণগঞ্জ বিডিও কামালউদ্দিন আহমেদ জানান, ‘সীমান্তের কাঁটাতারের ওপারে হাওয়ায় ওই সমস্ত পরিবারগুলির কিছু অসুবিধার মধ্যে অনেক সময় পড়তে হয়। তবে, দেশের সুরক্ষার কথা ভেবেই সীমান্ত রক্ষীবাহিনীরা তাদের কর্তব্য পালন করেন। এই বিষয়ে আলোচনা চলছে, খুব শিঘ্রই তাদের সমস্যার সমাধান করা হবে। কাঁটাতারের বেড়াজালে