কাকদ্বীপে কালীমূর্তি ভাঙায় গ্রেপ্তার বিজেপি কর্মী, তৃণমূলের তীব্র কটাক্ষ

কাকদ্বীপে কালীমূর্তি ভাঙায় গ্রেপ্তার বিজেপি কর্মী, তৃণমূলের তীব্র কটাক্ষ

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram



দক্ষিন 24 পরগণা – কাকদ্বীপে কালীমূর্তি ভাঙার ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন বিজেপি ও সক্রিয় আরএসএস কর্মী নারায়ণ হালদার। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই ঘটনার রং চড়ানোর চেষ্টা করেছিল। পুলিশের কাছে নারায়ণ হালদার স্বীকার করেছেন যে তিনি মদ্যপ অবস্থায় এই জঘন্য কাজটি করেছেন। বুধবারই এই মূর্তি ভাঙার খবর এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে রাজনৈতিক আলোড়ন তোলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, কিন্তু ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই বিজেপির পক্ষে বিষয়টি উল্টো ফল দেয়।

তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। বিজেপি এটায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রং চড়াল। শেষে দেখা গেল বিজেপির যুব মোর্চার কর্মী নারায়ণ হালদার যুক্ত। সে অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় এই কাজ করেছে নাকি পরিকল্পিতভাবে করানো হয়েছে, সেটা দেখা হবে।” তিনি আরও বলেন, “বিজেপির তরফে কেউ এই জঘন্য কাজ ঘটিয়েছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হবে।”

মঙ্গলবার গভীর রাতে কাকদ্বীপের হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানার সূর্যনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর চন্দননগর নস্করপাড়ায় কালীমূর্তি ভাঙার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। স্থানীয় কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভাসানের পর তাঁরা লিখিত অভিযোগ জানাবেন এবং দোষীকে শাস্তি দেওয়ার দাবি তোলেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই বিভিন্ন গ্রাম থেকে প্রচুর বহিরাগত ঢুকে পড়ে এবং ভাঙা মূর্তিটি জাতীয় সড়কের উপর রেখে রাস্তা অবরোধ শুরু করে।

অভিযোগ, ওই অবরোধে অংশ নেন বিজেপি সমর্থক ও কর্মীরা। তৃণমূলের দাবি, বিজেপি পরিকল্পিতভাবে এই কাণ্ড ঘটিয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করেছে। অবরোধের জেরে সাধারণ মানুষ, যানবাহন এমনকি অ্যাম্বুল্যান্সও আটকে পড়ে। হাতে লাঠি, ইটপাটকেল নিয়ে অবরোধকারীরা পুলিশের উপর হামলাও চালায়, এতে এক পুলিশকর্মী আহত হন। পুলিশের তরফে জানানো হয়, “আমরা কালীমায়ের সম্মান ও পবিত্রতা রক্ষা করতেই দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছি। গুজবে কান দেবেন না, শান্তি বজায় রাখুন।”

সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও সাংবাদিকদের জানান, নারায়ণ হালদার নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং সে নিজের অপরাধ স্বীকার করেছে। সে জানায়, সম্পূর্ণ মদ্যপ অবস্থায় এই কাজ করেছে এবং নিজের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত। আদালত ধৃতকে পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে। তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।

মথুরাপুরের সাংসদ বাপি হালদার বলেন, “সারা বাংলায় যেভাবে বিজেপি মিথ্যে প্রচার চালিয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছে, কাকদ্বীপেও সেই একই ষড়যন্ত্র হয়েছিল। বিজেপির উদ্দেশ্য ছিল এলাকার শান্ত পরিবেশ নষ্ট করা।”

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top