সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ কাচকি মাছ এখন চানাচুর। এমন কাজ করে ফেলেছেন বাংলাদেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। সাধারণভাবে কম জনপ্রিয় কাচকি কাচকি মাছকে তারা চানাচুরের প্যাকেটে এনে ফেলে বিপ্লব এনে ফেলেছেন। এখন চানাচুর যেখানে যেখানে প্রিয়, সেখানেই চলছে কাচকি মাছ চানাচুরের চর্চা। ড. মুহম্মদ নুরুল হায়দার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, কাচকি মাছে শরীরের জন্যে প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ও ভিটামিন ‘এ’ ব্যাপক পরিমাণে রয়েছে। হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কাচকি মাছ গুরুত্বপূর্ণ।
শিশু সহ সকল বয়সের মানুষের চানাচুর জাতীয় খাবার খুব পছন্দের। তাই কাচকি মাছকে প্রসেসড ওয়ে-তে ভেজে চানাচুরের মতোই মুচমুচে করে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এখানে মাছ প্রথমে ভেজে নেওয়া হয়। মাছগুলো মিডিয়াম তাপমাত্রায় ভেজে নিলে, এতে মাছগুলো মচমচে হবে।
অন্যদিকে বাজার থেকে কেনা ডাল-চুরণ-পাপড়ি মিশিয়ে প্রক্রিয়াকৃত মাছ মিশিয়ে তৈরি করা হয়েছে চানাচুর। মাছ দিয়ে তৈরি এসব পণ্যে পরবর্তীকালে মাছে কোনও গন্ধ থাকে না।
জিপার ব্যাগে পণ্যগুলো দুই মাসের বেশি সময় পর্যন্ত ভালো থাকে বলে জানা গিয়েছে।ফলে কাচকি মাছের বিকল্প বিপণন যেমন শুরু হবে, তেমনই অন্য মাছকেও এমনভাবে প্রক্রিয়ায় অন্য কিছুর সঙ্গে উপাদেয় করে তোলা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
আর ও পড়ুন কিভাবে হবেন ভালো বাবা-মা ? জানুন ভালো বাবা মা হওয়ার গোপন টিপস
পাশাপাশি স্বাদের সঙ্গে পুষ্টিও মিলবে। সবাই খুশ। কাঁটা আলাদা করার দরকার নেই। মুচমুচে করে মিশিয়ে দেওয়ার কারণে কাঁটা বাছার ঝামেলাও নেই। বুঝতেই পারবেন না, তো বাছার প্রয়োজনও নেই। বিকল্প উপায়ে পুষ্টি গ্রহণের উপায় উদ্ভাবন করতে গিয়ে চানাচুর বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের একদল গবেষক।
প্রক্রিয়া করে তারা তৈরি করেছেন কাচকি মাছের চানাচুর। সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে গবেষণাটি পরিচালিত হয়। পণ্যগুলোর বাজার মূল্য কত হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে গবেষকেরা বলেন, এটা নির্ভর করবে একই পরিমাণ চানাচুরে মাছের পরিমাণ যত বেশি হবে তার দামও তত বেশি হবে।
তবে এমন কিছু দাম হবে না বলেই জানানো হয়েছে। ছোট প্যাকেট ২০ থেকে ২৫ টাকার মধ্য়েই রয়েছে। এখন বাণিজ্যিকভাবে এই ফরমুলা বিক্রি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তাই চলতি পুজো না হলেও কয়েক মাসের মধ্যেই তা বাজারে আসতে চলেছে।