পূর্ব বর্ধমান – দীর্ঘ আন্দোলন এবং প্রবল দাবির পর অবশেষে চালু হলো কাটোয়া–আহমদপুর রুটে নতুন একটি EMU ট্রেন। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কাটোয়া থেকে বিকেল ৩:৫০ মিনিটে এই ট্রেন ছাড়বে, আর আহমদপুর থেকে বিকেল ৫:৩০ মিনিটে ছাড়বে অপর একটি EMU। এতদিন শুধুমাত্র সকালে ট্রেন চলাচল করত, ফলে নিয়মিত যাত্রীদের জন্য এই নতুন পরিষেবা কিছুটা স্বস্তি নিয়ে এসেছে।
আহমদপুর কাটোয়া রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই উদ্যোগের জন্য রেলমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী, জেনারেল ম্যানেজার, ডিআরএম ও রেলের সকল কর্মীদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানানো হচ্ছে। তবে যাত্রীদের দাবি, তাদের মূল চাহিদা এখনো পূরণ হয়নি। অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সকাল ও সন্ধ্যায় কলকাতা যাতায়াতের জন্য একটি সরাসরি ট্রেন চালুর দাবি জানানো হয়েছে।
অ্যাসোসিয়েশনের তরফে আরও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে যে, “মা ফুল্লরা ফাস্ট প্যাসেঞ্জার” নামে একটি ট্রেন রামপুরহাট থেকে হাওড়া এবং রামপুরহাট থেকে শিয়ালদা পর্যন্ত চালু করা হোক। পাশাপাশি, “শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু তীর্থ এক্সপ্রেস” নামে একটি বিশেষ ট্রেন চালানোরও আবেদন জানানো হয়েছে, যা শিয়ালদা বা বনগাঁ থেকে শুরু করে দেওঘর পর্যন্ত যাবে। পথে নবদ্বীপ, কাটোয়া, আহমদপুর, তারাপীঠ, রামপুরহাট, দুমকা সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
অ্যাসোসিয়েশনের মতে, এই বিশেষ ট্রেন চালু হলে একসাথে ৫১টি সতীপীঠের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হবে। এর ফলে ভক্তদের তীর্থযাত্রা সহজ হবে, পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডের মধ্যে নতুন ব্যবসায়িক পথ খুলে যাবে এবং রেলেরও আয় বৃদ্ধি পাবে।
আজকের দাবিপত্র জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন আহমদপুর কাটোয়া রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্ব দিলীপ মন্ডল, চাঁদ রায়, রাহুল মন্ডল, সুবীর সেন, জয়ন্ত মন্ডল, সদানন্দ দত্ত সহ আরও অনেকে। তাদের অনুরোধ, আসন্ন দুর্গাপুজোর আগেই যেন নতুন ট্রেন পরিষেবা চালু করা হয়।
