কানপুরের একজন ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে ১৫০ কোটি টাকা উদ্ধার। যেখানে চোখ যায়, সেখানেই টাকা। কানপুরের একজন ব্যবসায়ীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১৫০ কোটি টাকা উদ্ধার করে আয়কর দফতর। তবে এখনও নোট গণনা চলছে। সব নোট এখনও গননা করে উঠতে পারেননি।
একই সঙ্গে তল্লাশি চালানো হয়েছে তার একাধিক কম্পানিতেও। কানপুরের সুগন্ধি ব্যবসায়ী পীযূষ জৈনের বাড়িতে আয়কর দফতরের অভিযান এখনও চলছে। ব্যবসায়ীর কাছে এত নগদ পাওয়া গেছে যে এখনও পর্যন্ত নোট গণনা শেষ হয়নি। আয়কর দফতর জৈনের বাড়িতে বেশ কয়েকটি আলমারি ভর্তি নোট খুঁজে পেয়েছে। এই নোটগুলি গণনার জন্য ৮ টি মেশিন স্থাপন করা হয়েছে, তবে এখনও গণনা শেষ হয়নি।
এদিকে ডিজিজিআই-এর টিম ব্যবসায়ী পীযূষ জৈনের ছেলে প্রত্যুষ জৈনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অন্য জায়গায় নিয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার, ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ জিএসটি ইন্টেলিজেন্স অর্থাৎ ডিজিজিআই এবং আয়কর দফতরের দল কনৌজের সুগন্ধি ব্যবসায়ী পীযূষ জৈনের বাড়িতে হানা দেয়। এই সময়ে, আলমারিতে এত টাকা পাওয়া গেছে যে নোট গণনা মেশিন ডাকা হয়েছিল।
আর ও পড়ুন দীঘায় ফের কাঁকড়া খেয়ে মৃত্যু হলো এক তরুণীর
সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমসের চেয়ারম্যান বিবেক জোহরি বলেছেন যে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৫০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তিনি জানান, এখনও নোট গণনা চলছে। এই অভিযানের পর ২৪ ঘন্টারও বেশি সময় পার হয়ে গেছে। ঘরের ভেতরে দল বেঁধে নোট গোনার কাজ চলছে। বৃহস্পতিবার ৬ টি নোট কাউন্টিং মেশিন আনা হয়েছিল, কিন্তু এতগুলি নোটের বান্ডিল রয়েছে যে মেশিনগুলি কম পড়ে গেছে। এরপর আরও দুটি মেশিন আনা হয়।
৮ টি মেশিনের সাহায্যে দলটি নোট গণনার কাজ করছে, তবে এখনও পর্যন্ত গণনা চলছে। অভিযান চলাকালে পীযূষ জৈনের বাড়ির বাইরে এখনও পর্যন্ত ৬ টি নোট ভর্তি বাক্স রাখা হয়েছে। স্টিলের এই সব বড় বাক্সে নোট ভর্তি করার পর আয়কর দফতরের দল তা সঙ্গে নিয়ে যাবে। নোট নেওয়ার জন্য PAC-কেও ডাকা হয়েছে। অভিযানের প্রক্রিয়া এখনও চলছে। পীযূষ সুগন্ধি দ্রব্যের ব্যৱসায়ী। সঙ্গে তার ক’ল্ড ষ্টোরেজ ও পেট্র’ল পাম্পের ব্যবসাও আছে। মুম্বাইত একটি শ্বো-রুমর মালিকও সে।