অবশেষে কংগ্রসে যোগ দিলেন কানহাইয়া কুমার । অবশেষে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন কানহাইয়া কুমার। সিপিআই ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেবেন, সেই জল্পনা অনেক দিন ধরেই চলছিলো। শেষ পর্যন্ত কংগ্রেসে যোগ দিলেন তিনি। মঙ্গলবার দিল্লিতে কংগ্রেসে যোগ দিলেন কানহাইয়া কুমার। জেএনইউ–এর ছাত্রনেতা।
যোগ দেওয়ার কথা ছিল গুজরাটের দলিত নেতা জিগনেশ মেভানিরও। কিন্তু ‘টেকনিকাল’ সমস্যার জন্য তিনি আজ সরকারিভাবে কংগ্রেসে যোগ দিতে পারলেন না। বাড়িয়ে দিলেন সমর্থনের হাত। যোগদান হল কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর উপস্থিতিতে।
কংগ্রেসে যোগ দিয়েই কানহাইয়া বললেন,‘কংগ্রেস রাজনৈতিক দল নয়। একটা মতবাদ। এটা দেশের সবথেকে পুরনো এবং গণতান্ত্রিক দল। আমি এই গণতান্ত্রিক শব্দটায় জোর দিচ্ছি। শুধু আমি নয়, অনেকেই মনে করেন, কংগ্রেস ছাড়া দেশ থাকবে না।’
আর ও পড়ুন পরীমণির ব্যবহৃত আটক করা ১৬টি জিনিস ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিলো আদালত
একদা সিপিআই অফিসে নিজেই লাগিয়েছিলেন, সেই এসি খুলে নিয়ে গেলেন কানহাইয়া। কংগ্রেস দলকে এর পর ‘বড় জাহাজ’–এর সঙ্গে তুলনা করলেন কানহাইয়া। বললেন, ‘এই দল বাঁচলে অনেক মানুষের ইচ্ছা, মহাত্মা গান্ধী ঐক্যমত, ভগৎ সিংয়ের সাহস, বি আর আম্বেদকরের সাম্যের মতবাদও বাঁচবে। সে কারণেই আমি এখানে যোগ দিয়েছি।’ তিনি বলেন, তাঁর মতো কোটি কোটি তরুণ মনে করেন, কংগ্রেস না থাকলে তাঁদের অস্তিত্বও থাকবে না।
দিন কয়েক আগে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দু’বার বৈঠক করেছেন কানহাইয়া। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সঙ্গেও কথা বলেছিলেন। তার পরই শুরু হয় জল্পনা। দল ছাড়ার সময় কানহাইয়া সিপিআই–এর জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য ছিলেন। দলের কাঠামো অনুযায়ী যা সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক সমিতি হিসেবে বিবেচিত হয়।