হুগলী – হুগলির কানাইপুরে গত দু’দিন ধরে নিখোঁজ থাকা এক বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ১৩ বছরের নাবালিকার পচাগলা দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। বৃহস্পতিবার সকালে নপাড়া এলাকার একটি ফাঁকা মাঠে দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে পাঠায়।
দেহ উদ্ধারের পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছে কানাইপুরের মানুষ। পরিবারের সদস্যদের দেহ দেখাতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলে পুলিশের বিরুদ্ধে ফাঁড়িতে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। মৃতদেহে জুতো খোলা অবস্থায় ছিল, কিন্তু আশেপাশে কোনো গর্ত বা টানার চিহ্ন ছিল না—যা ঘটনার ঘোরতর সন্দেহ আরও বাড়িয়ে তোলে।
চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানান, ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্ত এখনও পলাতক, তাকে খুঁজতে তৎপর রয়েছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেল চারটে নাগাদ পাড়ারই এক যুবক ওই নাবালিকাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে মেয়েটির আর কোনও খোঁজ মেলেনি।
পুলিশ এদিন স্নিফার ডগ ও ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি শুরু করে। পুকুরে ফেলা হয় জাল। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন কমিশনার অমিত পি জাভালগি, ডিসিপি অর্ণব বিশ্বাস, এসিপি আলী রাজা-সহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
স্থানীয় সিপিআই(এম) নেতা তপন চক্রবর্তীর বক্তব্য অনুযায়ী, যেখানে দেহ পাওয়া গেছে, সেখানে সাধারণ মানুষ সচরাচর যান না। কেবল গরু-ছাগল চরাতে যাওয়া মানুষজনই ওই জায়গায় যান। এমনই এক ব্যক্তি গরু চড়াতে গিয়ে দেহটি দেখতে পান এবং এলাকাবাসীকে খবর দেন। তিনি আরও জানান, পুলিশের হাতে থাকা ছবির সঙ্গে জমিতে পড়ে থাকা দেহের মিল থাকলেও, পরিবারের কাউকে দিয়ে সনাক্তকরণ করানো হয়নি।
ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকার মানুষ দোষীদের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে এবং খুব শিগগিরই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।
