কামারহাটিতে মাটি দিয়ে জলাজমি ভরাটের অভিযোগ। কামারহাটি পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ড অফিসের পেছনের জলাজমি মাটি দিয়ে ভরাটের অভিযোগ,ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য এলাকায়। কামারহাটি পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ১৫ বিঘার মতো জলাশয় খাদ রয়েছে,রাতের অন্ধকারে ট্রাক্টরে করে মাটি নিয়ে এসে সেই জলাশয় জায়গা ভরাটের অভিযোগ উঠেছে,আশ্চর্যের বিষয় কামারহাটি পৌরসভার 15 নম্বর ওয়ার্ড অফিসের পেছনেই এই মাটি ফেলার কাজ চলছে,
সেই ওয়ার্ড অফিসে প্রতিদিন কর্মসূত্রে আসেন ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরপিতা সুশান্ত চ্যাটার্জি,কামারহাটি পৌরসভার নির্বাচনে এই সুশান্ত চ্যাটার্জী নির্দল প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন,সুশান্ত সম্পর্কে বিজেপি নেত্রী তথা সাংসদ লকেট চ্যাটার্জির ভাই,ওয়ার্ড অফিসের পেছনে জলাশয় মাটি ফেলে রাতের অন্ধকারে ভরাট হচ্ছে, আরএই বিষয়ে পৌরপিতাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান,এই বিষয় তিনি কিছুই জানেন না,জমিটি kmda এর তত্ত্বাবধানে রয়েছে,যদি কেউ মাটি ভরাটের কাজ করে থাকে সেটা অন্যায় কাজ,আমি অবশ্যই ব্যবস্থা নেব,kmda এর ভারপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার দীপক ভট্টাচার্যের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে না চাইলেও,
তিনি তার বক্তব্যে জানান kmda এর কাজ হল জল সংক্রান্ত বিষয়ে কাজ করা ও নজর রাখা,কোথায় কেউ বা কারা মাটি ফেলে জলাশয় জায়গা ভরাট করছে সেই বিষয়ে kmda কিছু জানেনা,এই বিষয়ে কামারহাটি পৌরসভার পৌরপ্রধান গোপাল সাহা বলেন,তিনি সংবাদ মাধ্যমের কাছ থেকে ঘটনাটি শুনেছেন,জমিটি kmda এর তত্ত্বাবধানে রয়েছে,কে বা কারা মাটি ফেলে জলাশয় ভরাট করছে সেটা তিনি খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন,সিপিএম নেতা প্রদীপ মজুমদার এই বিষয়ে জানান,ওয়ার্ড অফিস এর পেছনে মাটি ফেলে জলাশয় ভরাট হবে আর কাউন্সিলর জানবে না এটা হতে পারে না,
কাউন্সিলর ও kmda এর অফিসারেরা এই জলাশয় ভরাটের সঙ্গে যুক্ত,বিজেপি নেতা জয়সাহা বলেন,যে সমস্ত নেতারা দুর্নীতিতে ধরা পড়ছেন তখনই তারা বলছেন আমি কিছু জানি না,তাহলে সাংসদ সৌগত রায়ের কথায় ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও kmda এর আধিকারিকেরা ৯৫ শতাংশে পড়ছে না ৫ শতাংশে সেটাই দেখার বিষয়,এইভাবে কামারহাটি পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে রাতের অন্ধকারে ট্রাক্টরে করে মাটি ফেলে জলাশয় বোঝানোর যে ঘটনা ঘোটে চলেছে,তাতে ফের প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উঠছে?