কামারহাটি বিধায়কের অনুগামীর মধ্যে গোষ্ঠী সংঘর্ষ,আহত এক। ফের কামারহাটিতে তৃনমূলের গোষ্ঠী কোন্দোল প্রকাশ্যে। এবার বিধায়ক মদন মিত্রর দুই অনুগামীর মধ্যে অন্তঃকলহ চরম বিবাদের রুপ নিল। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে কামারহাটি পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের মিত্র বাগান এলাকায় তৃনমূলের একটি দলিয় সভা ছিল। সেই সভায় যোগ দিতে কামাহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের সঙ্গে সভাস্থলে আসেন তারই অনুগামী হিসেবে পরিচিত তথা তৃনমূল কর্মী শানু খান। অনুষ্ঠান শেষে সভাস্থল ছেড়ে বিধায়ক মদন মিত্র বেরিয়ে যেতেই গন্ডগোলের সুত্রপাত।
অভিযোগ, বিধায়ক ঘটনাস্থল থেকে চলে যাবার পর পরই সেখানে এসে হাজির হয় বিধায়কের আর এক অনুগামী গড্ডু আনসারী ও তার দলবল। এরপরই তাঁরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে অতর্কিতে চড়াও হয় শানু খানের ওপর। অভিযোগ,গড্ডু ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা আগ্নেয়াস্ত্রের বাট দিয়ে মেরে শানু খানের মুখ ফাটিয়ে দেয়। পাশাপাশি চোঁখেও আঘাত করে। এছাড়াও তারা তৃনমূল কর্মী শানু খানের শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত করে। এরপর গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
এরপর ওইদিন রাতেই জখম তৃনমূল কর্মী শানু খান গড্ডু আনসারী,আরমান,রাজু,সুমন্ত সহ একাধিক তৃনমূল কর্মীর বিরুদ্ধে বেলঘরিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বেলঘরিয়া থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই শানুর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে। এদিকে বিধায়কের দুই অনুগামীর মধ্যে গোষ্ঠী সংঘর্ষে জেরে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে কামারহাটির মিত্র বাগান এলাকায়। ঘটনায় জখম তৃনমূল কর্মী শানু খানের দাবি, বিধায়ক মদন মিত্রের সভা শেষে বাড়ি ফেরার সময় তার ওপর অতর্কিতে হামলা চালায় গুড্ডু আনসারী ও তার দলবল।
আরও পড়ুন – দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যারিয়ার মেলা
তার আরও অভিযোগ,গুড্ডু আনসারী সমাজবিরোধী মুলক কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত। ওর সেই কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় এদিন তার ওপর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়। এমনকি ওইদিন গুড্ডু তাকে প্রাননাশেরও হুমকি দেয় বলে শানু খানের দাবি। অপরদিকে জখম তৃনমূল কর্মী শানুর ভাই ইমরান খানের অভিযোগ,গুড্ডু আনসারী ছাড়া অন্য কোনো তৃনমূল কর্মীর সঙ্গে বিধায়ক মদন মিত্রের ঘনিষ্ঠতা বাড়লেই তার ওপর হামলা চালায় গুড্ডু ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। এমনকি ও নিজেকে একাই বিধায়কের ঘনিষ্ঠ বলেও মনে করে।
মদন মিত্রের সঙ্গে অন্য কোনো তৃনমূল কর্মীর সখ্যতা গুড্ডু মেনে নিতে পারে না। এই ঘটনা তারই বহিঃপ্রকাশ। এদিকে তৃনমূলের গোষ্ঠী কোন্দোলের ঘটনায় বিজেপি যুব মোর্চার সদস্য জয় সাহা বলেন, তৃনমূল কংগ্রেসর শেষের সময় শুরু হয়ে গেছে। তাই নিজেদের আখের গোছাতে রাজ্যের সর্বত্রই শাসকদলের কর্মীদের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল চরমে পৌঁচেছে।