বিজেপির কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠলো বিধায়কের বিরুদ্ধে। বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সদর কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে। দলের একাংশের দাবি, ভাড়া পাননি এই অভিযোগে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন বনগাঁ উত্তরের দলীয় বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া।
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অশোকবাবু। জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার পার্টি অফিসের জন্য ঘর ভাড়া দিয়েছিলেন বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া ৷ সেই ঘর ভাড়ার টাকা বকেয়া থাকায় বিজেপির পার্টি অফিসের গেটে তালা ঝুলিয়ে দিলেন বিধায়ক ও তাঁর ভাই ৷ যদিও এই তালা লাগিয়ে দেওয়া অস্বীকার করেছেন অশোক কীর্তনীয়া ৷
আর এই ঘটনাকে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে কটাক্ষ করেছে বনগাঁ তৃণমূল নেতৃত্ব ৷ বিজেপির উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সংগঠনকে ভেঙে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা করা হয় ৷ সেই সময় বনগাঁ বিজেপির পার্টি অফিস করা হয় বনগাঁ শহরের গান্ধী পল্লীতে। বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়ার কাছ থেকে বাড়ি ভাড়া নিয়ে পার্টি অফিস করা হয়েছিল৷ জানা গিয়েছে, কিছু দিন আগে বিধায়ক বৈঠকের কথা বলে জেলা অফিসের চাবি নিয়েছিলেন৷ তার পরে আর চাবি ফেরত দেননি৷
গত শনিবার সন্ধ্যায় পার্টি অফিসের সম্পাদক সুবীর সেন সেখানে গিয়ে দেখেন তালা ঝুলছে৷ এর পর তিনি অশোক কীর্তনীয়া কাছে পার্টি অফিসের চাবি আনতে যান৷ সুবীরবাবুর অভিযোগ, ভাড়া না পাওয়ার কারণে চাবি দিতে অস্বীকার করেন বিধায়ক৷ ভাড়া না পেলে চাবি দেবেন না বলে জানিয়ে দেন তিনি। এই ঘটনায় সুবীরভবাবু বলেন, অশোক কীর্তনীয়া এবং তাঁর ভাই পার্টি অফিসে তালা দিয়েছে৷ বলার কোনও ভাষা নেই৷ বিজেপির বিধায়ক বিজেপির পার্টি অফিসে তালা দিয়েছেন৷ এটা দুঃখজনক৷ ভাড়া নিয়ে কোনও অসুবিধা থাকলে নিজেরা বসে মিটিয়ে নেওয়া যেত৷ তাঁর অভিযোগ।
আর ও পড়ুন বাংলাদেশে রংপুরের পীরগঞ্জে পরপর হিন্দুদের ২০টি বাড়িতে আগুন
এই বিষয়ের সমাধান করবার জন্য দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বিধায়ককে ফোন করেছিলো। কিন্ত উনি উনি ফোন ধরেননি৷ অন্যদিকে, যদিও, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অশোক কীর্তনীয়া। তিনি বলেন, পার্টি অফিসের সেক্রেটারি কার প্ররোচনায় এমন কথা বলছেন আমার জানা নেই৷ অভিযোগ ভিত্তিহীন৷ ভাড়া নিয়ে সমস্যা নেই৷ এই ঘটনার কথা বেমালুম অস্বীকার করেছেন অশোকবাবু।
তিনিও সাফ জানিয়ে দেন, আমি পার্টি অফিসে তালা দিইনি। কে তালা দিয়েছে জানি না। আমার কাছে কেউ চাবি চাইতেও আসেনি। গোটাটা তৃণমূলের চক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে। ওদিকে স্থানীয় তৃণমূলের দাবি, বনগাঁয় গোষ্ঠীকোন্দলে জর্জরিত বিজেপি। তার জেরেই এই ঘটনা।