কাল বাংলা বনধ। ১২ ঘণ্টার জন্য হবে বনধ। সফল করতে রাজয়ের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি কর্মীরা পথে নামবেন বলেও জানানো হয়েছে। হয়ে গেল রাজ্যের ১০৮ পুরসভায় ভোট। সারা দিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। প্রতিবাদে সরব হয়েছে। আঙুল তুলেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। ভোট শেষ হতেই তাই আগামীকাল, সোমবার সারা রাজ্যে বাংলা বনধের ডাক দিল বিজেপি। ১২ ঘণ্টার জন্য হবে বনধ। সফল করতে রাজয়ের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি কর্মীরা পথে নামবেন বলেও জানানো হয়েছে।
রবিবার সকাল থেকেই বিজেপি অভিযোগ করে, ভোট কারচুপি চলছে। জায়গায় জায়গায় ভোট লুঠ হচ্ছে। তাদের কর্মীরা মারধর খাচ্ছেন। বিকেল ৪টের সময় ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকের কথাও ঘোষণা করা হয়। তার পরই ভার্চুয়াল বৈঠকের সময় পিছিয়ে ৫টা করে দেওয়া হয়। প্রত্যাশা মতো বড় ঘোষণাই হল সেখানে। রাজ্য দপ্তরে হাজির ছিলেন বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। খড়্গপুর থেকে এতে যোগ দেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ, কাঁথি থেকে যোগ দেন বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী, বালুরঘাট থেকে যোগ দেন রাজ্যের বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
বিজেপি সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ তুলেছে, তৃণমূল গায়ের জোরে ভোট করিয়েছে। মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘আমাদের দক্ষিণ দমদম পুরসভার এক মহিলা প্রার্থীকে বুথের ভিতর ঢুকে মারধর করা হয়েছে। একজনই ঘুরে ঘুরে সব জায়গায় ভোট দিচ্ছেন। এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। সমস্ত দলের এজেন্টই মার খেয়েছেন। হাইকোর্ট শান্তিপূর্ণ ভোটের কথা বলছিল। সুপ্রিমকোর্ট এই পুলিশের ওপর আস্থা রেখেছিল। এবার তারা চিন্তা করবে।’ বিজেপি–র তরফে এও বলা হয়েছে, যে পুলিশ কোথাও নীরব দর্শক। কোথাও আবার তৃণমূলকেই সমর্থন করেছে।
আর ও পড়ুন রাশিয়ার বিজ্ঞাপন-ভিত্তিক আয়ের পথ বন্ধ করল গুগল
এদিকে কংগ্রেসের লোকসভা নেতা অধীর চৌধুরী এই বনধের ক্ষেত্রে বিজেপি–কেই সমর্থন করলেন। বললেন, ‘বিজেপি–র ডাকা বনধ সমর্থনযোগ্য। ক্ষমতা থাকলে আমরাও ডাকতাম’। সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে সিপিএম–ও। তাদের নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, রাজ্য জুড়ে ভোট কারচুপি হয়েছে। তবে বিজেপি–কে সমর্থন তারা করেনি। জানিয়েছে, আদতে বিজেপি তৃণমূলেরই পক্ষে। পাশাপাশি বিজেপি–র ডাকা বনধেও সমর্থন করেনি। তবে বিরেধীদের এসব অভিযোগ মানেনি শাসকদল তৃণমূল। মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘ভোটে লড়ার ক্ষমতা নেই বিজেপি–র। রাজ্যের উন্নয়নের ধারাকে স্তব্ধ করতে এই বনধ জাকা হয়েছে।