কালীপুজো ও দীপাবলীতে কতোক্ষন বাজি ফাটানো যাবে? জেনে নিন

কালীপুজো ও দীপাবলীতে কতোক্ষন বাজি ফাটানো যাবে? জেনে নিন

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
কালীপুজো

কালীপুজো ও দীপাবলীতে কতোক্ষন বাজি ফাটানো যাবে? জেনে নিন ।  কালীপুজো, দিওয়ালিতে  বাজি ফাটানোর সময় বেঁধে দিল পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ । শুধু তাই নয়, অন্য কোনও বাজি নয়, বরং পরিবেশ বান্ধব বাজি বিক্রি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে।

 

আজ বুধবার পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে যে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে কবে, কতক্ষণ বাজি ফাটানো যাবে। পর্ষদ জানাচ্ছে, কালীপুজোর দিন মাত্র ২ ঘণ্টা পোড়ানো যাবে আতশবাজি। ওই দিন রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বাজি পোড়ানোর ছাড় রয়েছে।  তবে পরিবেশ বান্ধব ছাড়া কোনও বাজি এই সময়ের মধ্যে ফাটানো যাবে না। এমনকি বেঁধে দেওয়া সময়সীমার বাইরে বাজি ফাটালে কড়া ব্যবস্থার ইঙ্গিত দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের।

 

এছাড়াও সামনেই ছট পুজো। আর ছটকে সামনে রেখে ব্যাপক ভাবে বাজি ফাটানো হয়। কিন্তু এবার এক্ষেত্রেও সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রেও কেবল ২ ঘণ্টাই এই বাজি ফাটানো যাবে। নির্দেশ অনুসারে, ছটপুজোয় সকাল ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত আতশবাজি পোড়ানো যাবে। তবে এক্ষেত্রেই পরিবেশ বান্ধব বাই ফাটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

অন্যদিকে ক্রিসমাস এবং বছর শেষেও বাজি ফাটানোর সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে। ফলে নির্দেশিকা অনুযায়ী, ক্রিসমাস ও বর্ষশেষের রাতে ১১.৫৫ মিনিট থেকে সাড়ে ১২ পর্যন্ত পরিবেশবান্ধব আতসবাজি ফাটানো যাবে। অর্থাৎ ২৪ শে ডিসেম্বর এবং ৩১ ডিসেম্বর মাত্র ৩৫ মিনিট করেই বাজি ফাটানো যাবে। এই সময়সীমার বাইরে বাজি  ফাটানো যাবে না। আর এই সময়ের মধ্যে ফাটাতে হবে পরিবেশ বান্ধব বাজি।

 

আর ও পড়ুন    চলতি সপ্তাহের শেষেই রাজ্যে শীতের আমেজ নেমে আসবে

 

অন্যদিকে সবরকম শব্দবাজি পোড়ানো বা বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা। আবার যদিও একাংশের দাবি, প্রত্যেক বছরেই এহেন কড়া নির্দেশিকা জারি করা হয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে। কিন্তু আদৌতে কিছুই মানা হয় না। আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয়ে যায় বাজির দৌরাত্ম। এমনকি যা গোটা রাত ধড়ে চলে। শুধু তাই নয়, কালীপুজোর পরের দিন দিওয়ালির রাতে যে পরিমাণ বাই ফাটানো হয় তাতে কালো ধোঁয়াতে ভরে যায় চারপাশ। একধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যায় দূষণ। এক্ষেত্রে প্রশাসনের একাংশের গাফিলতিকেই দায়ি করছেন পরিবেশবিদরা।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top