কালী পূজার প্রতিমা বানাতে জোর ব্যস্ততা কুমোরটুলিতে। কালী পূজার আর বাকি মাত্র দশ দিন । তাই প্রতিমা বানাতে জোর ব্যস্ততা কুমোরটুলি তে । শারদীয়া দূর্গা পূজার পর বড় পূজা হল কালীপুজো । মৃত শিল্পীরা বছরের সবচেয়ে বেশি প্রতিমা তৈরি করে বাড়তি আয়ের মুখ দেখেন কালি পুজোয় । তাই মৃৎশিল্পী বা প্রতিমার কারিগরেরা আগে থেকেই কালি মায়ের প্রতিমা গড়া শুরু করেন । বিশেষ করে দূর্গা পূজার পর থেকেই চরম ব্যস্ততা দেখা যায় কুমোরটুলিতে ।
তাই অন্যান্য জায়গার মতো উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া ব্লকের চোপড়া কালাগছ সোনাপুর দাস পাড়া জ্যোতি নগর কলোনি ও ভূটি ঝাড়ি র পাল পাড়ায় চরম ব্যস্ততা চোখে পড়ল । মাঝিয়ালি অঞ্চলের জ্যোতি নগর কলোনির রাধা কৃষ্ণ শিল্পালয়ে স্ত্রী কন্যা নিয়ে স্ব পরিবারে প্রতিমা গড়তে ব্যস্ত মৃত শিল্পী বা প্রতিমার কারিগর শম্ভু পাল ।
আরও পড়ুন- পেনশন না পাওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন পেনশন প্রাপকরা
শম্ভু বাবু জানান এবারে তিনি ছোট বড়মিলিয়ে প্রায় শ খানেক কালি প্রতিমা বানাচ্ছেন। প্রতিটি প্রতিমা সাইজ হিসেবে দেড় হাজার থেকে তিন হাজার পর্যন্ত মজুরি পাচ্ছেন। বর্তমানে প্রতিমার কাজে কেমন লাভ হচ্ছে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান আগের থেকে এখন মাটি থেকে রং এবং প্রতিমার সাজ সরঞ্জাম সবকিছুরই দাম দ্বিগুণ হয়েছে। তাই খুব একটা বেশি লাভ থাকে না ।
তবুও পুরনো এই পেশাকে বাঁচিয়ে রাখার তাগিদেই 40 বছর ধরে এ কাজ করছেন বলে সম্ভব বাবু জানান। তিনি আরো জানান অন্যান্য কুটির শিল্পে সরকারি সাহায্য পাওয়া গেলেও প্রতিমা কারিগরদের ভাগ্যে কোন সাহায্য জোটেনি । তাই তার দাবি মৃত শিল্পীদের এবং তাদের শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সরকারি সাহায্যের খুবই প্রয়োজন। কালীপুজোর মাত্র দশ দিন হাতে তাই শম্ভু বাবু তার স্ত্রী উজ্জলা পাল এবং মেয়ে রূপা মনি ও সোনামণি পাল কে নিয়ে জোর প্রস্তুতির সঙ্গে প্রতিমার কাজ করে চলেছেন।