কালো মুখের দুর্গা পুজো হয় সুন্দরবনের এই গ্রামে ।ওপার বাংলার পূজাকে এপার বাংলায় ধরে রেখেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের ক্যানিং-১ ব্লকের এক নম্বর দিঘীরপাড় গ্রামের ভট্টাচার্য্য পরিবার।৪৩৬ বছরের পূজা এই পরিবারের।এপার বাংলায় বর্তমানে ৮০ তম বর্ষে পদার্পণ করল এ বছর।
মায়ের মুখ কালো গায়ের রং বাদামি রূপে পূজিত হচ্ছে দীর্ঘ বছর ধরে সুন্দরবনের এই ভট্টাচার্য্য পরিবারে। মায়ের স্বপ্নাদেশে এভাবেই পূজা করে আসছেন তারা।অতীতে ভট্টাচার্য্য পরিবার বসবাস করত বাংলাদেশ।সেখানে মনসা মন্দির ও দুর্গা মন্দির ছিল পাশাপাশি।
আর ও পড়ুন মালদায় মমতার রূপে দুর্গা, কী বলছে বিজেপি?
আর পরিবারের রীতি অনুযায়ী আগে মনসা মন্দিরে পূজা হবে তারপরে দুর্গা মায়ের পূজা হত। হঠাৎই একদিন মনসা মন্দিরে পূজা করে ফিরে আসার পর,সেই মন্দিরের প্রদীপের সলতে কাক উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় সলতে গিয়ে পড়ে দুর্গা মন্দিরে চালে।
এরপর সেই সলতে আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায় গোটা মন্দির।তারপর পরিবারের সদস্যরা ভাবে মা হয়তো আর পূজা চাইছে না।সেই কারণে পূজা বন্ধ করে দেয় ভট্টাচার্য্য পরিবার।এরপর ভট্টাচার্য্য পরিবারের এক সদস্যকে স্বপ্নাদেশে মা জানায় যে মুখের রং কালো ও গায়ের রং বাদামি রূপে পূজা করতে হবে।এরপর সেইভাবে মায়ের মুখে রং কালো ও গায়ের রং বাদামি রূপে পূজা করে আসছে ভট্টাচার্য্য পরিবার।
আর পরিবারের রীতি অনুযায়ী জন্মাষ্টমীর দিনে প্রতিমার কাটামো গায়ে মাটি লাগানো হয়। এভাবেই মেনে আসছে সুন্দরবনের ভট্টাচার্য্য পরিবার।আর বাংলাদেশ ছেড়ে এপার বাংলায় চলে আসে তারা।এপার বাংলায় ৮০ বছর ধরে এভাবেই পূজা করে আসছে ভট্টাচার্য্য পরিবারের সদস্যরা।
এ বিষয়ে পল্লবী ভট্টাচার্য, পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য বলেন মায়ের মুখ কালো গায়ের রং বাদামি রূপে পূজিত হচ্ছে দীর্ঘ বছর ধরে।কারণ একদিন মনসা মন্দিরে পূজা করে ফিরে আসার পর,সেই মন্দিরের প্রদীপের সলতে কাক উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় সলতে গিয়ে পড়ে দুর্গামন্দিরে চালে।
এরপর সেই সলতে আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায় গোটা মন্দির।এরপর পরিবারের এক সদস্যকে স্বপ্নাদেশে মা জানায় যে মুখের রং কালো ও গায়ের রং বাদামি রূপে পূজা করতে হবে।তারপর থেকেই এই ভাবেই পুজো হতে থাকে।তবে এ বছর ও শাস্ত্রীয় মতে পুজো হবে এবং কোভিড স্বাস্থ্য বিধি নিয়ম কানুন মেনেই।