জম্মু কাশ্মীরে ফের জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হল দুই শ্রমিকের। এদিন বিকেলে কুলগাঁওয়ে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এই হামলায় আরও একজন আহত হয়েছে। দুদিনে এটি তৃতীয় হামলার ঘটনা। এই মাসে এখনও পর্যন্ত জঙ্গি হামলায় ১১ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশের তরফে বলা হয়েছে রাজ্যের বাইরে থেকে আসা শ্রমিকরাই টার্গেট জঙ্গিদের। দিন কয়েকের মধ্যে সাধারণ মানুষের ওপরে হামলার একাধিক ঘটনা ঘটিয়েছে জঙ্গিরা। বিশেষ করে যাঁরা বাইরের রাজ্য থেকে কাজের জন্য কাশ্মীরে গিয়েছেন, তাঁদের ওপরেই হামলা হয়েছে।
শনিবার বিহার থেকে যাওয়া ফুচকা বিক্রেতা অরবিন্দ কুমার শাহরে শ্রীনগরে এবং উত্তর প্রদেশ থেকে যাওয়া ছুতোর মিস্ত্রি সাগির আহমেদকে পুলওয়ামায় গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা। গত সপ্তাহে জঙ্গিরা সরকারি উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের প্রিন্সিপাল এবং এক শিক্ষাকে গুলি করে হত্যা করেছিল। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের জঙ্গিরা এক কাশ্মীরি পণ্ডিত এবং শ্রীনগরের নাম করা ওষুধের দোকানের মালিক মাখললাল বিন্দ্রকে গুলি করে হত্যা করেছিল। এরপর ট্যাক্সিচালক দীপক চাঁদ, শিক্ষক সুপুন্দার কাউর, রাস্তার ধারের খাবার বিক্রেতা বীরেন্দ্রর পাসোয়ানকে হত্যা করেছিল জঙ্গিরা।
আর ও পড়ুন ক্রিস্টাল ডিসুজার অনুরাগীদের জন্য শেয়ার করা চোখ ধাঁধানো ছবি
ন্যাশনাল কনফারেন্স প্রেসিডেন্ট ফারুক আবদুল্লা বলেছেন, এই ধরনের হামলা কাশ্মীরিদের বদনাম করতে করা হচ্ছে। এই ধরনের হামলাকে দুর্ভাগ্যজনক বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। তিনি আরও দাবি করেন, কাশ্মীরিরা এই ধরনের হামলার পিছনে জড়িত নয়। এদিকে সাধারণ মানুষকে হত্যার ঘটনায় বিভিন্ন সংগঠনের তরফ থেকে কাশ্মীর উপত্যকায় কাশ্মীর বিরোধী বিক্ষোভ জোরদার হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা পাকিস্তান সরকারে কুশপুতুলও দাহ করে।
এদিকে জঙ্গিদের এই হামলার জেরে বিভিন্ন ট্রানজিট ক্যাম্পে থাকা কাশ্মীরি পণ্ডিত পরিবারের সদস্যরা উপত্যকা ছাড়তে শুরু করেছেন বলে জানা গিয়েছে। বহু পরিবার, যাদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কাশ্মীরি পরিযায়ী হিসেবে চাকরি পাওয়া অনেকেই উপত্যকায় গিয়েছিলেন। তাঁরা এবার কাশ্মীর ছাড়তে শুরু করেছেন।
এদিকে জঙ্গি হামলার জেরে কাশ্মীর জুড়ে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। এখনও পর্যন্ত এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার অভিযোগে ৯০০ জনকে আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি জঙ্গি বিরোধী অভিযানও জোরদার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।