স্বাস্থ্য – কিডনি মানবদেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ, যার কাজ রক্ত ছেঁকে শরীর থেকে টক্সিন ও অতিরিক্ত তরল বের করে দেওয়া। তবে অনিয়মিত জীবনযাপন, প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া, কম জল পান এবং অতিরিক্ত লবণ গ্রহণের কারণে কিডনির কার্যকারিতা কমে যেতে পারে। এর ফলে কিডনিতে পাথর, সংক্রমণ বা ফোলাভাবের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এই ধরনের সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পেতে কিছু প্রাকৃতিক পানীয় প্রতিদিন খালি পেটে পান করাটা অত্যন্ত উপকারী হতে পারে। এগুলো কিডনিকে ডিটক্স করতে সাহায্য করে এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বর্জ্য সহজেই বেরিয়ে যায়। নিচে এমনই ৫টি স্বাস্থ্যকর পানীয়ের কথা জানানো হল:
১. লেবুর জল:
লেবুতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড ক্যালসিয়ামকে প্রস্রাবে জমাট বাঁধতে বাধা দেয়। প্রতিদিন সকালে হালকা গরম জলে আধা লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে কিডনির পাথর গলে যেতে পারে এবং ভবিষ্যতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনাও কমে।
২. আজওয়াইনের জল:
আজওয়াইন একটি প্রাকৃতিক ডিটক্স উপাদান। এতে থাকা মূত্রবর্ধক গুণ শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। এক চামচ আজওয়াইন রাতে জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে ছেঁকে খালি পেটে পান করলে কিডনি স্টোন দূর করা সম্ভব।
৩. ডাবের জল:
ডাবের জলে থাকে ইলেক্ট্রোলাইট, যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়ায়। ফলে কিডনির ভেতরের বর্জ্য বেরিয়ে যায়। সপ্তাহে ৩-৪ দিন খালি পেটে ডাবের জল পান করলে কিডনি সুস্থ থাকে।
৪. ধনে ও পালং শাকের জল:
এই দুই ধরনের শাক-সবজিতে ডিটক্সিফাইং গুণ রয়েছে। এগুলো ফুটিয়ে, জল ছেঁকে ঠান্ডা করে খালি পেটে পান করলে কিডনি পরিষ্কার হয় এবং পাথর প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যেতে পারে। একইসঙ্গে এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে।
৫. হলুদের জল:
হলুদে থাকা কারকিউমিন অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং ডিটক্সিফাইং বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ। প্রতিদিন সকালে গরম জলে এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে পান করলে কিডনির ফোলাভাব কমে এবং শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যায়।
সুস্থ কিডনি মানেই সুস্থ শরীর। তাই কিডনির প্রতি যত্নবান হওয়া অত্যন্ত জরুরি, আর তার জন্য রোজকার সকালে এই পানীয়গুলি রুটিনে যোগ করলেই আপনি পেতে পারেন দারুণ উপকার।
