কিয়েভে সাধারণ মানুষের বাসভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, শিশুসহ নিহত ১৯৮। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে যেসব ভবনে বেসামরিক লোকজন বসবাস করেন এমন একাধিক আকাশচুম্বী ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। তবে এসব হামলায় ঠিক কতোজন হতাহত হয়েছেন, তা জানা যায়নি। চোখের পলকে এসব ভবনে উড়ে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে ক্ষেপণাস্ত্র। এতে বেশ কিছু ভবনে আগুন ধরে যায় এবং সেগুলো থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে।
ইউক্রেনে রুশ হামলায় এ পর্যন্ত ১৯৮ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। নিহতের মধ্যে তিনটি শিশুও রয়েছে। ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, রুশ হামলায় এ পর্যন্ত ১ হাজার ১১৫ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছে ৩৩টি শিশু।
আর ও পড়ুন ইউক্রেনে বাঙ্কারে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন ভারতীয় পড়ুয়ারা, বিপাকে বসিরহাটের অর্পণ
ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোন হেরাশচেঙ্কো জানান, বেসমারিক নাগরিকদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে না বলে রাশিয়া যে দাবি করছে, তা মিথ্যা। তিনি বলেন, ইউক্রেনে অন্তত ৪০টি বেসামরিক স্থাপনায় হামলা হয়েছে।শনিবার ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানান, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের বিভিন্ন লক্ষ্যে (শুক্রবার দিবাগত) রাতভর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।
এই হামলার একটি ছবি অনলাইনে প্রকাশ করেন কিয়েভের মেয়র ভিতালি লিচকো। ওই ছবিতে দেখা যায়, ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে একটি বহুতল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।ভবনের অন্তত পাঁচটি ফ্লোর এ ক্ষেপণাস্ত্রে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে রাস্তায় ভবনের ধ্বংসাবশেষ দেখা গেছে। ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিকট শব্দ শোনা যায়।
কিয়েভে রুশ সেনাবাহিনীর উপস্থিতি নিয়মিত নয়। তারা শহরটির বিভিন্ন অংশ দিয়ে প্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।জানা গেছে, কিয়েভের রাস্তায় রুশ সেনাদের ঠেকাতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের বাহিনী। এ পরিস্থিতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছে সহায়তা চেয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।ইতোমধ্যে ফ্রান্স ইউক্রেনের জন্য অস্ত্র ও যুদ্ধ সরঞ্জাম পাঠাতে শুরু করেছে। প্রতিবেশি পোল্যান্ডও সহায়তা করছে বলে জানা যায়।