ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের বিমানঘাঁটির দখল নিয়েছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের কাছে হস্তমেল বিমানঘাঁটির দখল নিয়েছে রুশ বাহিনী। এই বিমানঘাঁটি দখলে নিতে ইউক্রেনের বাহিনীর সঙ্গে তীব্র লড়াই হয়েছে বলে জানা গেছে। বিমানঘাঁটিটি আন্তোনভ বিমানবন্দর নামেও পরিচিত।রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আন্তোনভ বিমানবন্দরে চালানো অভিযানে তাদের প্রায় ২০০ রুশ হেলিকপ্টার অংশ নিয়েছে।
এই অভিযানে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর বিশেষ ইউনিটের অন্তত ২০০ সদস্য নিহত হয়েছেন। এই অভিযানে রাশিয়ার কোনো সেনা হতাহত হননি। এ বিমানঘাঁটি হাতছাড়া হওয়ার খবর এখনও নিশ্চিত করেনি ইউক্রেন সরকার।
আর ও পড়ুন মাফিয়া রাজের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী
অন্যদিকে, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর বলছে, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে দেশটির এক লাখের বেশি বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।আরও হাজার হাজার ইউক্রেনীয় ইউরোপে প্রতিবেশি অন্য দেশগুলোয় আশ্রয় নেয়ার জন্য ছুটছেন। বাস্তুচ্যুতদের অনেকেই যাচ্ছেন রোমানিয়া ও মলডোবায়।
জাতিসংঘের সংস্থাটি ইউক্রেনের প্রতিবেশি দেশগুলোকে সীমান্ত খুলে দিতে এবং বাস্তুচ্যুত লোকজনকে গ্রহণ করতে আহ্বান জানিয়েছে।সাবিয়া মান্তো বলেন, ‘আমরা মনে করি যে, এক লাখের বেশি মানুষ ইতোমধ্যে তাদের ঘরবাড়ি ছেড়েছেন; তারা দেশের ভেতরেই হয়তো বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। বেশ কয়েক হাজার আন্তর্জাতিক সীমানা পার হয়েছেন।’ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযানের প্রেক্ষিতে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। দেশটির রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন শহরে বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া।
এই প্রেক্ষপটে ইউক্রেনে হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। আগ্রাসনের প্রথম দিনে ১৩৭ জন ইউক্রেনীয় নিহত হয়েছেন বলে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন। তবে এ সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।কারণ, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। বিভিন্ন স্থানে রুশ বাহিনীর সঙ্গে লড়ে চলেছে ইউক্রেনের বাহিনী।