কুনো জাতীয় উদ্যানে নামিবিয়া চিতা শিকার করছে ভারতের নীলগাই। জঙ্গলে ছাড়া পেতেই জাত চেনাল কুনোর চিতা ‘আশা’ । এক থাবায় খতম করল একের পর এক আস্ত নীলগাইকে । মাত্র কিছুদিন আগেই তার পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে নামিবিয়ার চিতা আশাকেও ছেড়ে দেওয়া হয় কুনো জাতীয় উদ্যানের বড় এনক্লোজারে। আর কোয়ারেন্টাইন পর্ব শেষ করেই নতুন রক্তের স্বাদ পেল আশা।
জানা গিয়েছে, নামিবিয়া থেকে আসা এই মহিলা চিতা তিন তিনটি নীলগাই ইতিমধ্যেই সাবাড় করে দিয়েছে।ধীরে ধীরে বদলাচ্ছে চিতাদের শিকারের ধরণ। ফ্রেডি এবং এল্টন, যে দুই বড় চিতাকা প্রথম বড় এনক্লোজারে বের করে আনা হয়েছিল, তারা শিকার শুরু করেছিল চিতল হরিণ দিয়ে। এবার আশা নামে চিতাটি শিকার করল নীলগাই। একের পর এক ভারতীয় প্রাণীর রক্তের স্বাদ নিচ্ছে নামিবিয়া থেকে আসা এই অতিথিরা। মধ্যপ্রদেশের বন আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, ২৫ থেকে ৩০ কেজি ওজনের একটি নীলগাই শিকার করেছে আশা।
মুখ্য বন আধিকারিক জে এস চৌহান বলেন, “নামিবিয়া থেকে চিতাদের কুনোতে নিয়ে আসার আগে থেকেই তাদের শিকারের ধরণ নিয়ে চর্চা হয়েছিল। আমাদের অনুমান ছিল আফ্রিকার জঙ্গল থেকে আসা ভারতের নীলগাই কিংবা চিতল শিকার করবে না। কিন্তু, আমাদের ধারণা ভেঙে ওরা নয়া রক্তের স্বাদ পেয়েছে। এই চিতাদের মধ্যে আশা সবচেয়ে ছোট। সে একাই আস্ত নীলগাই মেরে খাচ্ছে। বিষয় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।” নীলগাই এবং চিতল হরিণ এখন চিতাদের ফেভারিট ডিনার।
আরও পড়ুন – মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরে বিশ্ব শান্তি মহাযজ্ঞ
তাই কুনো জাতীয় উদ্যানে বাড়ানো হচ্ছে নীলগাই এবং চিতলগত ১৭ ডিসেম্বর কুনোর জঙ্গলে এই আট নামিবিয়ার চিতাকে নিজে হাতে ছেড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নিজেই সবচেয়ে ছোট চিতাটির নাম রেখিছিলেন আশা। পরবর্তীতে এই আশার গর্ভবতী হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসে। কিন্তু, গর্ভেই নষ্ট হয় আশার সন্তান। বিশেষজ্ঞদের একাংশের অনুমান ছিল, নামিবিয়ার জঙ্গল থেকে আসার আগেই অন্তঃসত্ত্বা ছিল আশা। এতটা পথ আসার পর ধকল সামালাতে পারেনি সে। স্ট্রেস থেকেই তার গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরাডিসেম্বর ৪ দিনটি আন্তর্জাতিক চিতা দিবস হিসেবেই পালিত হয়। এ বছর দেশে এই দিনটির গুরুত্ব বাড়ল।