কুলিকে পাখি গননা, ভাঙতে পারে পুরোনো রেকর্ড। এ’বছরের জন্য রায়গঞ্জ ফরেষ্ট ডিভিশনের কুলিক পাখিরালয়ের পাখি গননার দিন নির্ধারিত হল আগামী ১৫ ও ১৬ই সেপ্টেম্বর। এবছর প্রকৃতি অনুকূলে থাকায় পাখির সংখ্যায় পুরোনো রেকর্ড ভাঙার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে আশা করছেন বনদপ্তরের আধিকারিকেরা। উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের কুলিক পাখিরালয় হল এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শামুকখোল পাখির পাখিরালয়।
এখানে ওপেন বিল স্টক, নাইট হেরন, কর্মোরেন্ট, এগরেটের মত পরিযায়ী পাখিরা মূলত প্রজননের সময় ভিন দেশ থেকে উড়ে এসে বাসা বানায়। বাচ্চা পাখি গুলো উড়তে শিখে গেলে এই পরিযায়ীর দল আবারও উড়ে চলে যায় দূরদেশে। এবছর এগরেট পাখির দল মে মাসের শুরুতেই আসতে শুরু করে।
সাদা হয়ে যায় কুলিকের সবুজ অরণ্য। মরশুমের শুরুতেই এভাবে পরিযায়ী পাখি ও পর্যটকের ভিড় বাড়তে থাকায় এবারে পর্যটক ও পরিযায়ী পাখিদের আগের রেকর্ড ভেঙে যাবে বলে তখন জানিয়েছিলেন কুলিক রেঞ্জের ডেপুটি রেঞ্জার বরুন কুমার সাহা। এদিন রায়গঞ্জ ফরেষ্ট ডিভিশনের বনাধিকারিক কমল সরকার বলেন, ‘প্রতি বছরই আমরা কুলিক সহ আশেপাশের এলাকায় সরকারি আধিকারিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গুলোর সহয়তা নিয়ে পাখি গননা করি। এবছরের পাখি গননা হবে আগামী ১৫ ও ১৬ই সেপ্টেম্বর।
আরও পড়ুন – সতীশ চন্দ্র মেমোরিয়াল হাই স্কুলের পক্ষ থেকে মশা বাহিত রোগের সচেতনতা শিবির
এই ২দিন সকাল ৭টা থেকে বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে কুলিকের সবুজ অরণ্যে পাখি গননা চলবে। বন বিভাগের পক্ষ থেকে গননার যাবতীয় সহয়তা করা হবে। কমল বাবুর আশা, এবছর পাখিরা অনেক আগে এসেছে। বাসা তৈরি করে পাখিদের জন্মও দিয়েছে। এখন উড়তে শেখানোর পালা। আমাদের আশা, পুরোনো সমস্ত রেকর্ড ভেঙে পাখির সংখ্যায় এবার কুলিক গড়বে নতুন রেকর্ড।
বনদপ্তরের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন পক্ষী বিশেষজ্ঞ ক্ষীরোদ সরকার। তিনি বলেন, ‘এমন গননায় পাখিদের প্রতি মানুষের সহমর্মিতা বাড়বে,। এছাড়াও পাখির সংখ্যা যেহেতু আমাদের সমাজের দূষনের নিয়ন্ত্রক, তাই এদের সংখ্যা বৃদ্ধি বা কমে যাওয়া আমাদেরকে পরিবেশ সচেতন হতে বাধ্য করবে।’