কুয়াশার চাদরে মুড়ে তিস্তা পাড়ে উঁকি মারছে শীতের আমেজ মাখানো ভোর। আশ্বিনের শেষে ঘাটে বাধা নৌকো বুঝিয়ে দিচ্ছে বর্ষার বিদায়। কুয়াশার চাদরে মুড়ে তিস্তা পাড়ে উঁকি মারছে শীতের আমেজ মাখানো ভোর। শুক্রবার সকালের এই দৃশ্য বুঝিয়ে দিচ্ছে শীত আসন্ন। লক্ষী পুজোর পরেও চলছিলো অবিরাম বৃষ্টি, দেখা দিয়েছিলো বন্যার ভ্রূকুটি, তবে শুক্রবারের ভোরের মধ্যে দিয়েই যেন জলপাইগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গ ফিরলো আপন ছন্দে।
তিস্তা পাড়ে জলে ভেজা পলি, ঘাটে বাধা নৌকো, ঝোরে যাওয়া কাঁশ এর মাঝে শিশির বিন্দুর মাঝে উঁকি দেয় সদ্য ফোটা লজ্জাবতী ফুল, কিছুদিন আগেও ভয়ঙ্করী তিস্তার বুক আজ শান্ত, শলার ভেলায় ভেসেই চলছে পারাপার। শহরের জনপদ ও কুয়াশার চাদরে মোরা শান্ত, লৌহ পাতে জমে থাকে শিশিরের জলকোনা। তার মধ্যে দিয়েই শুরু হয় কর্মব্যাস্ততা, শীতের আমেজ গায়ে মেখে রাজপথে ছুটে চলে সংবাদ পত্র বিক্রেতা, তবে ঋতুর এই পরিবর্তন যেন মনে জোগায় বাড়তি উচ্ছাস।
আরও পড়ুন – কালী পূজার প্রতিমা বানাতে জোর ব্যস্ততা কুমোরটুলিতে
এদিন সকালে ক্ষণিকের কুয়াশায় ঢাকলো জলপাইগুড়ি শহর ও সংলগ্ন গ্রামীণ এলাকা।জলপাইগুড়ির সেই পুরনো পরিবেশ ফিরে পেয়ে সকলেই উল্লাসিত। টানা কয়েকদিন ছিলো মেঘলা আকাশ ও বৃষ্টি। বৃষ্টির পরে শুক্রবার ভোরে শরতের প্রথম কুয়াশার দেখা মিললো। কুয়াশার চাদরে মাঠ, ঘাট, জাতীয় সড়ক ও রেল স্টেশন চত্বর যায় ঢেকে। এদিন স্থানীয় বাসিন্দা হরি পদ ঘোষ তিনি জানান, ভোর রাত থেকেই কুয়াশা দেখে খুব ভালো লাগছে। এই কয়েকদিন বৃষ্টি ছিলো, আজকে কুয়াশা পড়েছে ভালো লাগছে বলে জানালেন হরিপর ঘোষ, অসিত রাজবংশী সহ অন্যান্যরা বাসিন্দারা।