নদিয়া – কৃষ্ণনগরে কলেজছাত্রী ঈশিতা মল্লিকে খুনের ঘটনায় উঠে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। অভিযুক্ত দেশরাজ সিং খুনের আগের দিন, রবিবার, তাঁর বাবাকে জানিয়েছিলেন যে তিনি উত্তরপ্রদেশে বাড়ি যাচ্ছেন। এমনকি টিকিট কেটে ট্রেনে উঠেছিলেন বলেও জানান। কিন্তু সেই যাত্রা আর সম্পূর্ণ হয়নি। পরদিন, সোমবার, কৃষ্ণনগরের মানিকপাড়ায় তরুণীর বাড়িতে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে ঈশিতাকে খুনের অভিযোগ উঠেছে দেশরাজের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্তর বাবা রঘুবিন্দর প্রতাপ সিং, যিনি পেশায় বিএসএফ জওয়ান এবং বর্তমানে রাজস্থানের জয়সলমির সীমান্তে পোস্টেড, জানিয়েছেন, “২৪ তারিখ ছেলে ফোনে জানায় যে ট্রেনে উঠেছে। বলছিল ফোনে সমস্যা হচ্ছে। আমি ভেবেছিলাম দীপাবলিতে ওকে নতুন ফোন কিনে দেব। কিন্তু পরদিন থেকে নম্বর বন্ধ পাই।” তিনি আরও বলেন, “দোষ করলে সে আমার ছেলে হোক বা আমি, শাস্তি হওয়া উচিত।”
দেশরাজের মা পুনম সিংও জানান, “ছেলের খুনের অভিযোগ সম্পর্কে কিছু জানি না। মেয়েটিকে আমরা চিনতাম না। শুধু জানি, ২৪ তারিখ ছেলের ট্রেনে ওঠার কথা ছিল।” পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দেশরাজের পরিবার ২০১৫ সাল থেকে হরিণঘাটায় ভাড়া বাড়িতে থাকত। স্থানীয়দের মতে, দেশরাজ খুব একটা মিশুক ছিল না এবং রগচটা স্বভাবের জন্য প্রতিবেশীদের সঙ্গেও দূরত্ব বজায় রাখত। প্রায়ই তাঁকে মা ও বোনের সঙ্গে ঝগড়া করতে দেখা যেত।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার দেশরাজ কলেজছাত্রীর বাড়িতে ঢুকে পরিবারের সদস্যদের বন্দুকের ভয় দেখিয়ে দোতলায় ওঠে। সেখানে ঈশিতাকে সামনে পেয়ে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতার শরীরে তিনটি গুলির ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেছে। তদন্তকারীদের অনুমান, প্রেমের সম্পর্কে টানাপড়েন থেকেই এই খুন। বর্তমানে অভিযুক্ত পলাতক, এবং তাঁর সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
