কেন্দ্রীয় এজেন্সির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে আটকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নয়া সুপার স্পেশ্যালিটি ব্লগের কার্ডিওলজি বিভাগ

কেন্দ্রীয় এজেন্সির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে আটকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নয়া সুপার স্পেশ্যালিটি ব্লগের কার্ডিওলজি বিভাগ

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

কেন্দ্রীয় এজেন্সির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে আটকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নয়া সুপার স্পেশ্যালিটি ব্লগের কার্ডিওলজি বিভাগ। কেন্দ্রের দিল্লির এজেন্সির লাগাতার টাল বাহানায় দুই বছরেও অধিক সময় পেরোলেও উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চালু করা সম্ভব হচ্ছে না অত্যাধুনিক কার্ডিওলজির চিকিৎসা। রাজ্যের তরফে চাহিদা মতো যাবতীয় সুযোগ সুবিধা প্রদানের পরও কেন্দ্রীয় এজেন্সির চূড়ান্ত গড়িমসির জেরে দু বছর ঘুরলেও সিকি ভাগও এগোয়নি কাজ।

 

যার জেরে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পরিবর্তে হৃদযন্ত্রের সমস্যার আধুনিক চিকিৎসার জন্য কলকাতার ওপরই ভরসা করতে হচ্ছে উত্তরবঙ্গবাসীকে। অথচ খোদ ২০২০সালে দ্রুত কয়েক মাসের মধ্যেই সুপার স্পেশ্যালিটি ব্লগ চালু ও অত্যাধুনিক কার্ডিওলজি পরিষেবার চালুর ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা। কিন্তু কেন্দ্র সরকারকে এজেন্সির গাফিলতির বিরুদ্ধে একাধিকবার নোটিস পাঠিয়েও মেলেনি কোনো সদুত্তর।দ্রুত কাজ সম্পন্ন রুগী পরিষেবার প্রদানের লক্ষ্যে এজেন্সির চাহিদামতো যাবতীয় প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও সুযোগ প্রদান করে রাজ্যের কোষাগার থেকে ব্যয় করা হয়েছে কোটি কোটি টাকা। তারপর কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাছ থেকে মিলছে শুধুই তারিখের পর তারিখ। কেন্দ্রীয় এজেন্সির এই গাফিলতিতে ক্ষুদ্ধ স্বাস্থ্য দপ্তর।

আর ও পড়ুন    হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে আরো এক গ্রেপ্তার 

উত্তরবঙ্গ জন স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান কেন্দ্রীয় এজেন্সি মাসের পর মাস ঘুরিয়ে চলছে। কার্ডিওলজি বিভাগ আধুনিকীকরণ এবং ক্যাথ ল্যাব চালুর জন্য রাজ্যের তরফে যাবতীয় প্রয়জনীয় পরিকাঠামো প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গ জন স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুশান্ত রায় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এক অনুষ্ঠানের সামিল হয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানান আমরা চাইছি কাজ টা দ্রুত হোক। কিন্তু দিল্লির এজেন্সি লাগাতার সময় বিলম্ব করে চলছে। এজেন্সি যা যা চেয়েছে সেমত রাজ্য সরকারের তরফে বৈদ্যুতিক ও পূর্ত দপ্তর, পানীয় জলের পিএইচই বাবদ প্রায় এক কোটি টাকার যাবতীয় সহযোগিতা ও পরিকাঠামো প্রদান করা হয়েছে। অথচ দিল্লির এজেন্সির নিজস্ব বিভিন্ন বিভাগীয় অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে জেরে আটকে রয়েছে কাজ। কেন্দ্রীয় সরকারকে একাধিকবার বিষয়টি জানিয়ে নোট পাঠানো হয়েছে কিন্তু কোনো জবাব মেলেনি।

 

জন স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন আমি বারবার বলছি নিজেরা বিভাগীয় ভাবে বসে কাজটি ঠিক করুন। উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার ও অধ্যক্ষকেও হস্তক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। তিনি জানান মাঝে স্থায়ী পেসমেকার ও অস্থায়ী পেসমেকার বসানোর কাজও চলছিল। কিন্তু ক্যাথল্যাবের যন্ত্রের জন্য ফের কাজটা বন্ধ রয়েছে।পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে যাবতীয় কাজ করে দেওয়া হয়েছে। অথচ কখনও২০২১এর ডিসেম্বর আবার ২২ এর মার্চ মাস তো এখন আবার এজেন্সি বলছে জুন মাসের কথা, দিল্লির এই এজেন্সি কাজটা করতে পারছে না।অথচ নানা টালবাহানা দিয়ে অযাচিত কাজটি ঝুলিয়ে রেখেছে তারা হতাশা প্রকাশ করেই জানান তিনি।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top