কেন্দ্রের বৈষম্যের অভিযোগে সরব তৃণমূল, পাঞ্জাবে তহবিল ছাড় কিন্তু বাংলায় নয় কেন প্রশ্ন সুখেন্দুর

কেন্দ্রের বৈষম্যের অভিযোগে সরব তৃণমূল, পাঞ্জাবে তহবিল ছাড় কিন্তু বাংলায় নয় কেন প্রশ্ন সুখেন্দুর

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram



রাজ্য – অতিবৃষ্টির জেরে ভয়াবহ বন্যায় বিধ্বস্ত পাঞ্জাবসহ দেশের একাধিক রাজ্য। সেই তালিকা থেকে বাদ যায়নি পশ্চিমবঙ্গও। উত্তরবঙ্গের ভয়ঙ্কর বন্যা বহু মানুষের প্রাণ ও সম্পত্তিহানির ক্ষতি ঘটিয়েছে। কিন্তু অভিযোগ উঠছে, দেশের অন্যান্য রাজ্য যখন কেন্দ্রের কাছ থেকে দ্রুত ত্রাণসাহায্য পাচ্ছে, তখন বাংলার প্রতি কেন্দ্রের আচরণ বৈষম্যমূলক। এই নিয়েই এবার সরব হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়।

তাঁর অভিযোগ, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে—দেশের সাংসদরা তাঁদের সাংসদ তহবিল (MPLADS) থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত অনুদান পাঞ্জাবের বন্যা ত্রাণে দিতে পারবেন। সুখেন্দুর প্রশ্ন, যদি পাঞ্জাবের জন্য এই নিয়ম শিথিল করা যায়, তবে বাংলার জন্য নয় কেন? তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “সারা দেশের সাংসদদের পাঞ্জাবের বন্যা ত্রাণের জন্য সাংসদ তহবিল থেকে ১ কোটি টাকা ব্যয় করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে—এটা খুবই ভালো পদক্ষেপ। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম কেন শিথিল করা হচ্ছে না, যেখানে উত্তর ও দক্ষিণের বিস্তীর্ণ অঞ্চল বন্যায় ভেসে গিয়েছে?”

উল্লেখ্য, সাধারণত সাংসদ বা বিধায়করা তাঁদের তহবিলের অর্থ কেবল নিজেদের নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নের জন্যই ব্যয় করতে পারেন। অন্যত্র সেই অর্থ ব্যবহার নিয়মবিরুদ্ধ। কিন্তু কেন্দ্র যদি পাঞ্জাবের ক্ষেত্রে সেই বিধি শিথিল করে থাকে, তাহলে পশ্চিমবঙ্গকে সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা একপ্রকার বৈষম্য বলেই দাবি তৃণমূলের।

অন্যদিকে, রাজ্যের দাবি—এই বছরের প্রবল বর্ষণ এবং ভুটান থেকে ধেয়ে আসা জলের কারণে উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছিল। পাহাড় ও সমতলে ভয়ংকর ক্ষয়ক্ষতির পরও কেন্দ্রের তরফে কোনও সাহায্য মেলেনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সকল সাংসদ, বিধায়ক ও সাধারণ মানুষকে রাজ্য ত্রাণ তহবিলে সাহায্য করার আহ্বান জানিয়েছেন।

রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, মহারাষ্ট্র ও কর্নাটকে বন্যা মোকাবিলায় যেখানে কেন্দ্র দ্রুত প্রায় ১,৯৫০.৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে, সেখানে বাংলার দাবিকে বারবার উপেক্ষা করা হচ্ছে। তাঁদের দাবি, এটি বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বৈষম্যমূলক ও বৈমাতৃসুলভ আচরণের আরেকটি উদাহরণ।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top