২৯ মার্চ, দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০০০ ছুঁইছুঁই।করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের জেরে সকল দেশবাসী আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।ভাইরাসের এই চেন ভাঙতে দেশে লকডাউনের ঘোষণা করেছে সরকার।শুধু ভারতবর্ষ নয় বিশ্বের বহু দেশে চলছে লকডাউন।যার জেরে গৃহবন্দি রয়েছে বহু মানুষ কিন্তু এরমধ্যে সামনে আসছে বহু সমস্যা।দেশের কিছু মানুষ লকডাউনকে না মেনেই বাইরে বেরিয়ে ভিড় জমাচ্ছে অপরদিকে কিছু গরিব মানুষ বিনা রোজকারে না খেয়ে রাস্তায় দিন কাটাচ্ছে।মানুষকে সচেতন করতে রাস্তায় রাস্তায় পুলিশ টহল দিচ্ছে সাথে গরিব মানুষদের সাহায্যেও এগিয়ে আসছে।কিন্তু এরপরও যদি মানুষ বেখেয়ালি ভাবে নিয়ম না মেনে চলে, বাইরে বেরিয়ে ভিড় জমায় অর্থাৎ লকডাউন না মানে তাহলে ইচ্ছা করে নিজের জীবনকে রিস্কে ফেলা হবে।লকডাউন অমান্য করা মানে জীবন নিয়ে খেলা করা, এমনটাই বললেন আজ রবিবার ‘মন কি বাত’-এ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
দেশবাসীকে ফের গৃহবন্দি থাকার বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী।একইসঙ্গে এই লকডাউন কেন জরুরি তাও একবার স্পষ্ট করেদিলেন নরেন্দ্র মোদী।করোনাভাইরাস একজনের থেকে অন্যজনের শরীরে ছড়িয়ে যায়। একজন আক্রান্ত ব্যক্তি আরও তিনজনকে আক্রান্ত করতে পারেন। তাঁদের প্রত্যেকের থেকে আরও তিনজনের শরীরে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। লকডাউন পিরিয়ডে এটা আটকানো যায়। আর তাই হঠাৎ এই লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হতে হয় যাতে শুরুতেই এর প্রতিরোধ করা যায়।বাড়ি থেকে না বেরোলে এই সংক্রমণের হাত থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব হবে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অভিযোগ আসছে, হোম কোয়রান্টিনে থাকা মানুষদের নানাভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে সেই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ”এই ধরনের কিছু অভিযোগ শুনেছি। কিন্তু এটা বুঝতে হবে, স্বেচ্ছা কোয়রান্টিনে থাকা পরিবারের সদস্যরা দায়িত্বশীল। তাঁরা আক্রান্ত নন, কিন্তু সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকাতেই তাঁরা ঘরবন্দি থাকছেন। তাঁদের সাহায্য করুন।” সাথে আশেপাশে কোনও ভবঘুরে দেখতে পেলে তাদের সাহায্য করার জন্য এদিন সকলকেই আবেদন জানান।