খেলা – আপুইয়া মোহনবাগানে যোগ দেওয়ার পর স্যোশাল মিডিয়ায় একটা পোস্ট করেছিল ম্যানেজমেন্ট। সেখানে ‘সোনার কেল্লা’ সিনেমায় জটায়ুর একটা বিখ্যাত সংলাপ ছিল ‘এটা আমার’। আর জামশেদপুর বধে আপুইয়া যা করে দেখালেন তারপর আর কোনও কথাই বলা চলে না। মরশুমে এখনও একটাই গোল করেছেন এই ডিফেন্সিভ মিডিও।আর তাতেই বাজিমাত, আইএসএলের ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে মোহনবাগান।এখনও পযর্ন্ত কেরিয়ারে এটাই কি তাহলে সেরা গোল? সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আপুইয়া জানালেন, ‘নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডে থাকাকালীন কেরালার বিরুদ্ধে গোল করেছিলাম। সেটাকে আমি এগিয়ে রাখব। তবে এদিনের গোলটা নিঃসন্দেহে আমার কেরিয়ারে এখনও পর্যন্ত সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ গোল। ভারতীয় দলে থাকার সময় চোট পেয়েছিলাম। একটা সময় ভেবেছিলাম সেমিফাইনাল খেলতেই পারব না। কিন্তু পরীক্ষা করে দেখা যায় চোট ততটা গুরুতর নয়। ফিজিও এবং চিকিৎসকরা আমাকে সাহায্য করেছেন রিহ্যাবে। আমি এখনও পুরো ফিট নই, ব্যথা রয়েছে। তারপরেও যে কোচ আমার প্রতি ভরসা রেখেছেন তাতে আমি কৃতজ্ঞ।’
আপুইয়ার গোলে একপ্রকার ফেটে পড়ে যুবভারতী। অ্যাওয়ে ম্যাচের ঘটনার পর এমনিতেই তেতে ছিলেন বাগান সমর্থকরা। জয় নিশ্চিত হতেই স্মোক বম্ব, চিৎকার, আপুইয়ার নামে স্লোগান ওঠে। আর গোলের পরে তাঁর নিজের কী মনে হচ্ছিল? আপুইয়া জানালেন, ‘গোল করার আমি বুঝতে পারছিলাম না কীভাবে সেলিব্রেট করব। আমি শুধু দৌড়ে গেছি, সমর্থকদের কাছে গিয়েছি। তার মধ্যেও আমি আমার ভাই ফ্রেডিকে খুঁজছিলাম কারণ ও সবসময় আমার পাশে থেকেছে। কিন্তু অত ভিড়ে আমি ওকে খুঁজে পাইনি।’
এদিনের জয়সূচক গোলটাও নিজের আত্মীয় ভাইকেই উৎসর্গ করলেন তিনি। জানালেন, ‘এই গোলটা আমার ভাইয়ের জন্য। কেরিয়ারে একটা দীর্ঘ সময় গোল পাইনি। ও সবসময় আমার পাশে থেকেছে। কলকাতায় আসার পর এখানে ওই আমার নিজের এলাকার একমাত্র মানুষ, একমাত্র বন্ধু।’ জামশেদপুরকে হারানোর এবার ফাইনালে সামনে সুনীল ছেত্রীরা। আপুইয়া জানিয়ে রাখলেন, ‘ফাইনাল মোটেই সহজ হবে না। আমাদের কাছে যেমন কঠিন ম্যাচ তেমন ওদের কাছেও ততটাই কঠিন।’ একই সুর কোচ মলিনার গলাতেও। মঙ্গলবার দলকে ছুটি দিয়েছেন। বুধবার থেকে পুরোদমে অনুশীলন করবে মোহনবাগান। সবুজ মেরুনের হেড কোচ বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা ছিল বল দখলে রাখা, গোল করার চেষ্টা করা। সেই মতোই দল খেলেছে। অনেক সুযোগ এসেছে গোল করার। এবার ফাইনালের প্রস্তুতি শুরু করব।’
