উত্তরপ্রদেশ – উত্তরপ্রদেশের শামলি জেলার কৈরানা থেকে উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য, যেখানে বেগমপুরা এলাকার নোমান ইলাহিকে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।নোমান আগে তার বাবার সঙ্গে পাসপোর্ট ও নথিপত্র তৈরির কাজ করত। বাবার মৃত্যুর পর ব্যবসার দায়িত্ব নিজে নেওয়ার পর, সে অল্প সময়ে বেশি আয় করার লোভে আইএসআই-এর গুপ্তচর নেটওয়ার্কে জড়িয়ে পড়ে। তদন্তকারী সংস্থাগুলির দাবি, জনসহায়তা কেন্দ্র ও পাসপোর্ট পরিষেবার আড়ালে সে পাকিস্তান, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে যাওয়ার ইচ্ছুক ব্যক্তিদের জন্য জাল নথি তৈরি করত। তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে আটটি সন্দেহজনক পাসপোর্ট।জানা গেছে, পাসপোর্ট তৈরির কাজের সূত্রে নোমান আইএসআই এজেন্ট ইকবাল কানার সংস্পর্শে আসে এবং মোবাইল ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সেনাবাহিনীর তথ্য পাকিস্তানে পাঠাতে শুরু করে। সে চারবার পাকিস্তানে গিয়ে আইএসআই কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে। তার মাসি পাকিস্তানে থাকেন, সেই সুযোগেই সে সেদেশে যাতায়াত করত।সম্প্রতি, হরিয়ানার পানিপথে বোনের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেখানে সে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করছিল। জিজ্ঞাসাবাদে নোমান স্বীকার করেছে, অপারেশন সিন্দুর চলাকালে সে আইএসআইয়ের হয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করত।তদন্তে উঠে এসেছে, এই গোটা চক্রটি শুধু নোমান পর্যন্ত সীমাবদ্ধ নয়। কৈরানা, শামলি ও আশেপাশের এলাকার বহু যুবক, হকার, বেসরকারি কর্মচারী ও নথি পরিষেবায় যুক্ত ব্যক্তিরা এই নেটওয়ার্কে জড়িত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা। ইতিমধ্যেই তদন্ত ছড়িয়ে পড়েছে উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, দিল্লি, দেরাদুন ও পানিপথে।
