চড়ছে পান পাতার দাম, চিন্তায় কোচবিহারের পান ব্যাবসায়ীরা। বিগত ১ মাস থেকে পানের বাজারে আগুন লাগাতে পানের ডাবর প্রায় ফাকাই থাকছে গৃহস্থ দের। এমনকি পানের দোকানেও বিশেষ ভীড় নেই। কোচবিহার ভবানীগঞ্জ বাজারে ১১৫ টির মত পানের পাইকারি ও খুচরো দোকান আছে। গোটা শহরে এই এলাকা থেকেই পান রপ্তানী করা হয়। এই জেলায় মূলত তিন টি ভিন্ন প্রজাতির পান বিক্রি হয়। কালী বাংলা, লোকাল পান ও মিঠাপাতা। এই পান আশে সুন্দোরবন কাকদ্বীপ, জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ি ও মালদার কিছু এলাকা থেকে।
আর লোকাল পান টা পাওয়া যায় দিনহাটা, মাথাভাঙ্গা, কোচবিহার ২নং ব্লক ও তুফানগঞ্জের কিছু এলাকা থেকে। কালী বাংলা পান বিক্রি হয় ৫৫০০ টাকা থেকে ৫৮০০ টাকা প্রতি ১০০০ পিস এ। স্থানিয় পান ৬৫ টা ১৩০ টাকা। আর মিঠাপাতা ১০০ পাতা ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা। এই দাম টা ১ মাস আগেও এতটা ছিল না। কালী বাংলা ছিল ৩০০০ টাকা, লোকাল ছিল ৯০ টাকা আর মিঠাপাতা ছিল ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা। বছরের এই সময়ে দাম একটু চড়া থাকে ঠিক কিন্তু এই বছরের মত চড়া দাম আগে কখনো হয় নি।
আর ও পড়ুন কলকাতা পুরসভার প্রায় ৩২৪ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত, জানালেন অতীন ঘোষ
পান চাষের ক্ষেত্রে কার্তিক অঘ্রায়ন মাসে চাষ শুরু হয়, প্রথমে মাটি দিয়ে চাষের জায়গা উচু করে নিতে হয়, সাধারন মাটি নয়, উন্নত মানের এটেল মাটি। কোচবিহারে এই মাটি আসে ভিন জেলা থেকে। আবার আসাম থেকেও মাটি নিয়ে আসেন চাষী রা। চাষের পুরো এলাকাটা ছাউনি দেওয়া হয় বাঁশ, পাটকাঠি, বাতা দিয়ে, এমন কি ওপরেও ঢাকা দেওয়া হয়, এই বাশের ফাক দিয়ে সামান্য আলো প্রবেশ করে, এই পরিবেশ টাই আদর্শ বলে বিবেচিত হয়।
এটি একটি দির্ঘ্য মেয়াদী চাষ, বিঘা প্রতি ৬০-৭০ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রথম তিন বছর এর থেকে বিশেষ লাভ হয় না, তার পর থেকে লাভ হয়। ঠিক মত পরিচর্জা করতে পারলে ১০বছরের বেশি সময় লাভ পাওয়া যায়। পান চাষের সবথেকে বেশি ক্ষতি হয় বন্যা ও খরায়। এই দুই মরশুমে পান গাছের যত্ন ঠিক না হলে গাছ মরে যায়। ফলনের ওপরে নির্ভর করে বাজার মূল্যে তারতম্য ঘটে পানের। আবার পানের মান ও নির্ভর করে।
উল্লেখ্য,চড়ছে পান পাতার দাম, চিন্তায় কোচবিহারের পান ব্যাবসায়ীরা। বিগত ১ মাস থেকে পানের বাজারে আগুন লাগাতে পানের ডাবর প্রায় ফাকাই থাকছে গৃহস্থ দের। এমনকি পানের দোকানেও বিশেষ ভীড় নেই। কোচবিহার ভবানীগঞ্জ বাজারে ১১৫ টির মত পানের পাইকারি ও খুচরো দোকান আছে। গোটা শহরে এই এলাকা থেকেই পান রপ্তানী করা হয়। এই জেলায় মূলত তিন টি ভিন্ন প্রজাতির পান বিক্রি হয়। কালী বাংলা, লোকাল পান ও মিঠাপাতা।
এই পান আশে সুন্দোরবন কাকদ্বীপ, জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ি ও মালদার কিছু এলাকা থেকে। আর লোকাল পান টা পাওয়া যায় দিনহাটা, মাথাভাঙ্গা, কোচবিহার ২নং ব্লক ও তুফানগঞ্জের কিছু এলাকা থেকে। কালী বাংলা পান বিক্রি হয় ৫৫০০ টাকা থেকে ৫৮০০ টাকা প্রতি ১০০০ পিস এ। স্থানিয় পান ৬৫ টা ১৩০ টাকা। আর মিঠাপাতা ১০০ পাতা ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা। এই দাম টা ১ মাস আগেও এতটা ছিল না। কালী বাংলা ছিল ৩০০০ টাকা, লোকাল ছিল ৯০ টাকা আর মিঠাপাতা ছিল ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা। বছরের এই সময়ে দাম একটু চড়া থাকে ঠিক কিন্তু এই বছরের মত চড়া দাম আগে কখনো হয় নি।