কোচবিহার -কোচবিহার জেএনএম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সোমবার বিকেলে ঘটে গেল এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। পুলিশের হেফাজতে থাকা এক আসামি আচমকাই বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। হাতে থাকা লোহার রড নিয়ে তিনি ঢুকে পড়েন হাসপাতালের বাথরুমে। ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে আশপাশের মানুষকে ভয় দেখাতে শুরু করেন তিনি। মুহূর্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতাল চত্বরে।
ধৃতের নাম নভিন কাল্লু (৩২)। তিনি হায়দরাবাদের বাসিন্দা। রবিবার কোচবিহার শহরের রেল ঘুমটি এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সূত্রে জানা যায়, তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। শারীরিক পরীক্ষার জন্য সোমবার বিকেলে তাঁকে হাসপাতালে আনা হয়। সেই সময়ই সুযোগ বুঝে ওয়াশরুমে ঢুকে লোহার রড উঁচিয়ে আতঙ্ক তৈরি করেন তিনি।
খবর পেয়ে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছে যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃষ্ণ গোপাল মিনা এবং কোতোয়ালি থানার আইসি তপন পালের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী। দীর্ঘক্ষণ বোঝানোর চেষ্টা চলে। শেষে প্রায় জোর করেই পুলিশ তাঁকে বাথরুম থেকে বের করে আনে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃষ্ণ গোপাল মিনা বলেন, ধৃতের মানসিক সমস্যা রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রয়োজনে মানসিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।
এই ঘটনায় হাসপাতালের রোগী ও তাঁদের পরিজনদের মধ্যে প্রবল উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়ে। তবে পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ধৃতকে ফের হেফাজতে নেয়। ব্যস্ততম এই হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও সতর্কতা অবলম্বন করা হবে।
