কোজাগরী পূর্ণিমার নির্ঘণ্ট জেনে নিন। মনে করা হয় কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো যে বাড়িতে করা হয় সেই গৃহে মা লক্ষ্মী সদা বিরাজমান থাকেন। সেই গৃহের মানুষরা অত্যন্ত সুখে শান্তিতে ভরে থাকে। এই দিন মা লক্ষ্মী দেবীর পুজো করলে মনের বাসনা পূর্ণ হয়।
স্বাভাবিক ভাবে সুখে শান্তিতে সংসার জীবন কাটাতে মা লক্ষ্মীর কৃপার বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে। সারা বছর মায়ের কৃপা পেতে ভক্তি সহকারে সঠিক নিয়ম মেনে মায়ের পুজো করতে হবে। বাঙালি হিন্দু ঘরে লক্ষ্মী পুজো এক চিরন্তন উৎসব। অনেকেই সারা বছর প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার লক্ষ্মী দেবীর আরাধনা করে থাকেন।
এছাড়া শস্য সম্পদের দেবী বলে ভাদ্র সংক্রান্তি, পৌষ সংক্রান্তি, চৈত্র সংক্রান্তিতে এবং আশ্বিন পূর্ণিমা ও দীপাবলীতে লক্ষ্মীর পুজো হয়। খারিফ শস্য ও রবি শস্য যেই সময় হয়, ঠিক সেই সময় বাঙালি মেতে ওঠে লক্ষ্মীর পুজোয়। তবে পুজোর উপাচার পরিবর্তন হয় মাস ভেদে। গত বছর ৩০ অক্টোবর পালিত হয়েছিল লক্ষ্মী পুজো। এই বছর লক্ষ্মীর পুজো পড়েছে দু’দিন।
১৯ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭.০৩ মিনিট থেকে ২০ অক্টোবর রাত ৮.২৬ মিনিট পর্যন্ত পূর্ণিমা তিথি থাকবে। বাংলায় শারদীয়া দুর্গোৎসবের পর আশ্বিন মাসের শেষ পূর্ণিমা তিথিতে কোজাগরী লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয়। ‘কোজাগরী’ কথাটির অর্থ ‘কে জেগে আছো?’ হিন্দু পুরাণ মতে, আশ্বিনের এই পূর্ণিমার রাতে দেবী লক্ষ্মী এসে ঘরে ঘরে খোঁজ নিয়ে যান, কে জেগে আছে।
আর ও পড়ুন সঙ্গমকালে সঙ্গিনীর অনুমতি না নিয়ে কনডম খুললেই বিপদ
এই রাতে যে ব্যক্তি জেগে দেবীর আরাধনা করেন তাঁর ঘরেই প্রবেশ করেন দেবী লক্ষী। বিষাদ মনে দশমীর দিন দেবী দুর্গার প্রতিমা নিরঞ্জন করেন বাঙালি। তবে দুর্গা পুজো হতে না হতেই শুরু হয় লক্ষ্মী পুজোর তোড়জোড়। মা লক্ষ্মী হলেন ধনসম্পদের দেবী। সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধির জন্য লক্ষ্মী দেবীর আরাধনা করা হয়ে থাকে। কোজাগরী পূর্ণিমার দিন ঘরে ঘরে পূজিত হন মা লক্ষ্মী। ধন, যশ, খ্যাতি, সুস্বাস্থ্যের জন্য দেবী লক্ষ্মীর আরাধনায় মেতে ওঠে বাংলার প্রায় প্রতিটা পরিবার।৪