১ জনকে খুন করেও কোনও অনুশোচনা নেই নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ মসজিদ হামলায় অভিযুক্ত ব্রেন্টন টারান্টের! বরং শুক্রবার মামলার শুনানির সময় হাসিমুখেই দেখা গিয়েছে এই হামলাকারীকে। অর্ধ শতাধিক খুন এবং সন্ত্রাসে অভিযুক্ত ব্রেন্টনের আইনজীবীও মক্কেলের হয়ে দোষ স্বীকার নিয়ে কোনও আবেদন করেননি। ব্রেন্টনের এহেন আচরণে ক্ষুব্ধ হামলায় জখম এবং নিহতের পরিবার। অনেকেই ব্রেন্টনকে ‘রক্ত পিপাসু’ বলে উল্লেখ করেছেন। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৫ মার্চ ক্রাইস্টচার্চের আল নুর মসজিদে শুক্রবারের নামাজের সময় বন্দুক নিয়ে হামলা চালায় ২৮ বছরের ব্রেন্টন। এরপর সে পৌঁছে যায় শহরতলির লিনউড মসজিদে। আর তার হামলার লাইভ স্ট্রিমিং হতে থাকে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঘটনায় মোট ৫১ জনের মৃত্যু হয়। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ২০২০ সালের ৪ মে।
শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চ হাইকোর্টে অডিও-ভিজুয়াল মাধ্যমে শুনানিতে অংশ নেয় ব্রেন্টন। তাকে এখন কঠোর নিরাপত্তায় অকল্যান্ডের একটি জেলে রাখা হয়েছে। আদতে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক বেন্টনের বিরুদ্ধে ৫১টি খুন, ৪০টি খুনের চেষ্টা এবং জঙ্গি কার্যকলাপের অভিযোগে মামলা শুরু হয়েছে। শুক্রবার শুনানির সময় আদালত চত্বর ছিল পরিপূর্ণ। হামলায় নিহতদের পরিজন এবং আহতরাও শুনানির সময় হাজির ছিলেন। ব্রেন্টনকে হাসতে দেখে মুস্তাফা বোজাতজ বলেন, ‘ও যে একটা পশু, তাই প্রমাণ হল।’ হামলার সময় উরুতে গুলি লাগে মুস্তাফার। আব্দুল আজিজের আবার মন্তব্য, ‘নিরপরাধ মানুষকে খুন করেও কাউকে এমন অমানবিক হতে দেখে আমার দুঃখ হচ্ছে।’ লিনউড মসজিদে হামলার সময় ব্রেন্টনকে তাড়া করেছিলেন আব্দুল। সেদিনের সঙ্গে শুক্রবারের ব্রেন্টনের আচরণ তুলনা করে আব্দুল জানিয়েছেন, ‘এখন ও হাসছে। মনে করছে ও কঠিন মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছে। সেদিন কিন্তু কাপুরুষের মতো ও আমাকে দেখে পালিয়ে ছিল।’
এদিন বিচারপতি ক্যামেরন মান্দের বলেছেন, ব্রেন্টনের মানসিক অবস্থা পরীক্ষা করা হয়েছে। ও মানসিকভাবে সুস্থ। তাই ব্রেন্টন মানসিকভাবে সুস্থ কি না, তার বিচারের জন্য শুনানির প্রয়োজন নেই। ১৫ আগস্ট মামলার অবস্থা খতিয়ে দেখা হবে। সেদিন পর্যন্ত রিমান্ডে সে বিচারবিভাগীয় হেফাজতেই থাকবে। এদিন ছবি প্রকাশ নিয়ে বেশ কিছু বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছেন বিচারপতি মান্দের। বলা হয়েছে, শুক্রবারের শুনানির সময়ের ব্রেন্টনের ছবি প্রকাশ করা যাবে না। তবে অতীতের শুনানির ছবি সংবাদ মাধ্যম ছাপতেই পারে। তাছাড়া, হামলায় আহতদের বয়স ১৮-র উপর হলে নাম প্রকাশ করা যাবে বলে আদালত জানিয়েছে।
কোনও অনুশোচনা নেই ক্রাইস্টচার্চ হামলায় ৫১ জনের খুনি ব্রেন্টনের
কোনও অনুশোচনা নেই ক্রাইস্টচার্চ হামলায় ৫১ জনের খুনি ব্রেন্টনের
Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram