বিনোদন – টলিউডের পরিচিত মুখ দেবলীনা কুমার শুধুই অভিনেত্রী নন, বরং এক উজ্জ্বল জীবনদর্শনের প্রতিচ্ছবি। হাসিখুশি, প্রাণোচ্ছ্বল, পরিশ্রমী এবং আধ্যাত্মিক— এই বহুস্তর পরিচয়েই তাঁকে চেনেন অনুরাগীরা। সম্প্রতি এক পডকাস্টে এসে দেবলীনা জানালেন, তিনি প্রবলভাবে ঈশ্বরে বিশ্বাসী এবং ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান তাঁর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
তিনি স্পষ্ট বলেন, “যে কোনও সরকার তীর্থ তৈরি করুক, সেটা আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমি যেখানে মনে করি মন থেকে প্রার্থনা করতে পারব, সেখানেই যাই।” নিজের কথার উদাহরণ দিয়ে দেবলীনা জানান, তিনি দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনেও গিয়েছেন, নিয়মিত পুরী যান, বছরে ৪-৫ বার উপোসও রাখেন। বাড়িতেও রয়েছে একটি নিজস্ব ঠাকুরঘর।
উত্তম কুমারের নাতি গৌরব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহিত দেবলীনা শ্বশুরবাড়ির লক্ষ্মীপুজোয় নিয়মিত অংশ নেন। লক্ষ্মীপুজোর যাবতীয় কাজ তিনিই সামলান। তার পাশাপাশি নাচের স্কুল, অভিনয়, ফিটনেস রুটিন ও সংসারও দক্ষতার সঙ্গে সামলাচ্ছেন।
চলতি বছরে মা-বাবার সঙ্গে প্রয়াগরাজে গিয়ে মহাকুম্ভের পুণ্যস্নানেও অংশ নেন দেবলীনা। একদিনের মধ্যেই ট্রিপ সেরে কলকাতায় ফিরে আসেন তিনি। তাঁর মতে, এই জীবনে মহাকুম্ভের সুযোগ আবার নাও আসতে পারে— তাই নিজের ব্যস্ত সময় থেকেও আধ্যাত্মিকতার জায়গায় কখনওই আপস করেন না।
অভিনয়ের পাশাপাশি দেবলীনা টলিউডে ফিটনেস ফ্রিক হিসেবে পরিচিত। জিমে শাড়ি পরে ওয়ার্কআউট করার নজিরও তাঁরই। তবে ডায়েট মানলেও ভাত-মাংস খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখেন না। খেতে ভালোবাসেন, তবে সবই পরিমিতভাবে।
নাচ, পড়ানো, অভিনয়, সংসার— সব দিক সামলালেও দেবলীনার মূল শক্তি তাঁর আত্মিক বিশ্বাস ও মানসিক ভারসাম্য, যেটা তাঁকে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এগিয়ে চলার প্রেরণা দেয়।
