কোভিড-১৯ টিকা সরবরাহ, বন্টন ও সুস্থ পরিচালনার বিভিন্ন পন্থা নিয়ে আলোচনায় প্রধান মন্ত্রী

কোভিড-১৯ টিকা সরবরাহ, বন্টন ও সুস্থ পরিচালনার বিভিন্ন পন্থা নিয়ে আলোচনায় প্রধান মন্ত্রী

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

নয়া দিল্লি ২৪ নভেম্বর,২০২০:প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিশেষ করে ৮টি রাজ্যে কোভিড-১৯ মোকাবিলা ও প্রতিরোধে প্রস্তুতি ও গৃহীত ব্যবস্থা মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে খতিয়ে দেখেছেন।

অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত এই ৮টি রাজ্য হ’ল – হরিয়ানা, দিল্লি, ছত্তিশগড়, কেরল, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, গুজরাট ও পশ্চিমবঙ্গ। বৈঠকে কোভিড-১৯ টিকা সরবরাহ, বন্টন ও সুষ্ঠু পরিচালনার পন্থা-পদ্ধতি নিয়েও আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমগ্র দেশ সমবেত প্রচেষ্টার মাধ্যমে মহামারীর মোকাবিলা করেছে। ভারত সুস্থতা ও মৃত্যু হারের দিকে থেকে অন্যান্য দেশের তুলনায় ভালো জায়গায় রয়েছে। মোদী নমুনা পরীক্ষা ও চিকিৎসা পরিষেবা ব্যবস্থার সম্প্রসারণ প্রসঙ্গে জোর দিয়ে বলেন, অক্সিজেনের যোগান সুনিশ্চিত করতে পিএম কেয়ার্স তহবিলে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, অক্সিজেন উৎপাদনের দিক থেকে মেডিকেল কলেজ ও জেলা হাসপাতালগুলিকে আত্মনির্ভর করে তুলতে সবরকম প্রয়াস নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই দেশে ১৬০টিরও বেশি অক্সিজেন উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন প্রক্রিয়া চলছে বলেও তিনি জানান।

মহামারীর ব্যাপারে সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল, তা উপলব্ধি করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই প্রতিক্রিয়াকে ৪টি স্তরে বিভক্ত করা যেতে পারে। প্রথমত : সাধারণ মানুষ যখন মহামারী পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত হয়েছিলেন, তখন তাঁদের মানসিক অবস্থা কেমন ছিল। দ্বিতীয়ত : ভাইরাস সম্পর্কে সন্দেহগুলি কিভাবে মোকাবিলা করেছিলেন, যখন অধিকাংশ মানুষই লুকানোর চেষ্টা করেছিলেন যে, যদি তাঁরা এই ভাইরাসে সংক্রমিত হন। তৃতীয়ত : সাধারণ মানুষ যখন ভাইরাসের ব্যাপারে অত্যন্ত সজাগ হয়েছিলেন এবং এ ব্যাপারে নিজেদের সতর্কতা দেখিয়েছিলেন, তখন তাঁদের এই ভাইরাস সম্পর্কে গ্রহণযোগ্যতা কেমন ছিল। চতুর্থত : সুস্থতার হার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষের মনে ভাইরাসের কবল থেকে সুরক্ষার একটি ভুল ধারণা গড়ে উঠেছে, যা অবজ্ঞা ও উপেক্ষার ঘটনাগুলিকে আরও বাড়াতে পারে। প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, চতুর্থ পর্যায়ে ভাইরাসের কুপ্রভাব সম্পর্কে মানুষকে আরও বেশি সচেতন করে তোলা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, এক সময় যে দেশগুলিতে মহামারী সংক্রমণের ঘটনা হ্রাস পাচ্ছিল, এখন সেখানে সংক্রমণ পুনরায় ছড়িয়ে পড়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যগুলিকে আরও বেশি সতর্ক ও সজাগ থাকা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, হোম আইসোলেশনে যাঁরা রয়েছেন, সেই সমস্ত রোগীদের স্বাস্থ্যের ওপর আরও বেশি নজর রাখার জন্য আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন। একই সঙ্গে, গ্রাম ও কম্যুনিটি স্তরে স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিকেও কার্যপরিচালনার ক্ষেত্রে আরও বেশি দক্ষ করে তোলা প্রয়োজন। ভাইরাসের প্রভাব থেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য সচেতনতা অভিযানও চালিয়ে যেতে হবে বলে প্রধানমন্ত্রী অভিমত প্রকাশ করেন। তিনি বলেন আমাদের লক্ষ্য হবে করোনাজনিত কারণে মৃত্যু হার ১ শতাংশের নীচে নিয়ে আসা।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top