কোভিড-১৯ প্রতিরোধে অগ্রভাগে থাকা কর্মীদের জন্য ‘কাস্টোমাইজড ক্র্যাশ কোর্স প্রোগ্রাম’ প্রবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

কোভিড-১৯ প্রতিরোধে অগ্রভাগে থাকা কর্মীদের জন্য ‘কাস্টোমাইজড ক্র্যাশ কোর্স প্রোগ্রাম’ প্রবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

১৮ জুন, ২০২১: আজকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কোভিড-১৯ প্রতিরোধে অগ্রভাগে থাকা কর্মীদের জন্য ‘কাস্টোমাইজড ক্র্যাশ কোর্স প্রোগ্রাম’ প্রবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ দিয়েছেন। একনজরে জেনে নিন কি কি বলেছেন তিনি।
করোনার বিরুদ্ধে মহাযুদ্ধে আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযানের প্রথম পর্যায় শুরু হচ্ছে। করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় দেশের হাজার হাজার পেশাদার দক্ষতা উন্নয়ন অভিযানে যুক্ত হয়েছিলেন। এই প্রচেষ্টা দেশকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অনেক বড় শক্তি দিয়েছিল। এখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসার পরও আমরা যে অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছি, সেসব অভিজ্ঞতা আজকের এই কর্মসূচির মুখ্য ভিত্তি হয়ে উঠেছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আমরা দেখেছি যে করোনা ভাইরাস বারবার রূপান্তরিত হয় আর রূপান্তরিত রূপে কিভাবে আমাদের সামনে সমস্যার পাহাড় গড়ে তোলে।

এই ভাইরাস আমাদের মধ্যে এখনও রয়েছে, আর যতক্ষণ পর্যন্ত এটি থাকবে, এর রূপান্তরণের সম্ভাবনা বজায় থাকবে। সেজন্য প্রত্যেক চিকিৎসা, প্রত্যেক সতর্কতার পাশাপাশি সম্ভাব্য সমস্যাগুলির মোকাবিলায় আমাদের দেশের প্রস্তুতি আরও বাড়াতে হবে। এই লক্ষ্য নিয়েই আজ দেশে ১ লক্ষ নতুন করোনা যোদ্ধাদের অগ্রভাগে থাকার উপযোগী করে প্রশিক্ষিত করার মহাঅভিযান শুরু হচ্ছে। দেশের প্রতিটি রাজ্যে এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের চাহিদা অনুসারে দেশের প্রথম সারির বিশেষজ্ঞরা এই ক্র্যাশ কোর্সের ডিজাইন করেছেন। আজ ছয়টি নতুন কাস্টোমাইজড কোর্স প্রবর্তন করা হচ্ছে। নার্সিং সংক্রান্ত সাধারণ কাজ, হোম কেয়ার, ক্রিটিক্যাল কেয়ারে সহায়তা, নমুনা সংগ্রহ, মেডিকেল টেকনিশিয়ান এবং চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত নতুন নতুন সরঞ্জামের ব্যবহার পদ্ধতির প্রশিক্ষণদানের মাধ্যমে নবীন প্রজন্মকে প্রস্তুত করা হচ্ছে। ‘স্কিল, রি-স্কিল এবং আপ-স্কিল’-এর মন্ত্র কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা এই করোনাকালে আরেকবার প্রমাণিত হয়েছে। স্বাস্থ্যক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত পেশাদাররা দক্ষ তো ছিলেনই, কিন্তু তাঁরা করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে করতে অনেক নতুন কিছু শিখেছেন। অর্থাৎ, একভাবে তাঁরা নিজেদেরকে রি-স্কিল করেছেন। পাশাপাশি, তাঁদের আগে থেকেই যে দক্ষতা ছিল সেটাকেও তাঁরা ক্রমবর্ধিত করেছেন। পরিবর্তিত পরিস্থিতি অনুসারে নিজেদের দক্ষতাকে উন্নত করা বা মূল্য সংযোজন করা – এটাকেই বলে ‘আপ-স্কিলিং’ আর এটাই সময়ের চাহিদা, যে গতিতে প্রযুক্তি আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রবেশ করছে, প্রত্যেক পেশার মানুষেরই এখন নিয়মিত ডায়নামিক ব্যবস্থা এবং আপ-স্কিলিং অনিবার্য হয়ে পড়েছে। ‘স্কিল, রি-স্কিল এবং আপ-স্কিল’-এর গুরুত্বকে অনুধাবন করেই দেশে ‘দক্ষ ভারত মিশন’ শুরু হয়েছিল।
আজকের এই অনুষ্ঠানে আমি আমাদের স্বাস্থ্যক্ষেত্রের একটি বড় শক্তিশালী স্তম্ভ সম্পর্কে অবশ্যই আলোচনা করতে চাইব। প্রায়ই আমরা এই বন্ধুদের কথা আলোচনা করতে ভুলে যাই। এই বন্ধুরা হলেন আমাদের আশা-এএনএম-অঙ্গনওয়াড়ি এবং গ্রামে গ্রামে গড়ে ওঠা ডিসপেন্সারিগুলিতে কর্মরত আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা। ২১ জুন থেকে দেশে টিকাকরণ অভিযানের যে বিস্তার বৃদ্ধি পেতে চলেছে সেক্ষেত্রেও আমাদের এই বন্ধুরা অনেক বড় শক্তি যোগাবেন, অনেক বড় প্রাণশক্তি হয়ে উঠবেন। আমি আজ সার্বজনিকভাবে দেশবাসীর পক্ষ থেকে তাঁদের সকলের প্রশংসা করছি, আমাদের এই সমস্ত বন্ধুদের প্রশংসা করছি।২১ জুন থেকে যে টিকাকরণ অভিযান শুরু হতে চলেছে, সেই সংক্রান্ত অনেক গাইডলাইনও জারি করা হয়েছে। এখন ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সমস্ত নাগরিকরা এই পরিষেবা পাবেন যা এখন পর্যন্ত ৪৫ বছরের বেশি বয়সী আমাদের মাননীয় নাগরিকরা পেতেন। কেন্দ্রীয় সরকার প্রত্যেক দেশবাসীর টিকাকরণ সুনিশ্চিত করতে বিনামূল্যে টিকাকরণে দায়বদ্ধ। আমাদের প্রত্যেককেই করোনা নিয়ম-বিধি কঠোরভাবে পালন করতে হবে। প্র

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top