কোহলি হিরো কোহলি জিরো ভারতের হারে দায়। , তা হলে ফল হয়তো আলাদা হত। ক্রিকেটে ক্যাচ ম্যাচ জেতায়। ওটা তফাত গড়ে দিল।’’ সেই সঙ্গে রান আউটের সুযোগ নষ্ট করার প্রসঙ্গও টেনে আনেন ভুবি। বলেন, ‘‘শুধু ক্যাচ নয়, রান আউটের সুযোগও নষ্ট করেছি। অল্প রানের ম্যাচে এই ভুলগুলোর উপর হার-জিত নির্ভর করে। ’’ম্যাচ হারের দায় এড়াননি ভারত অধিনায়ক রোহিতও।
ম্যাচ শেষে রোহিত কোনও অজুহাত দিতে রাজি নন। তিনি বলেন, “কোনও অজুহাত দেব না। সুযোগ পেয়েও হাতছাড়া করেছি। এরকম ঠান্ডাতে আগেও খেলেছি আমরা। রান আউটের সুযোগ ফস্কেছি। আমি নিজেই সহজ সুযোগ পেয়েছিলাম। আমাদের আরও ধারাবাহিক হতে হবে ফিল্ডিংয়ে।”প্রসঙ্গত, দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের ১২তম ওভারে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে ক্যাচ ফেলেন বিরাট। দিনের সহজতম ক্যাচ সম্ভবত ওটাই ছিল।
আরও পড়ুন – উৎসবের মেজাজে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে “ছট” বন্দনা
কিন্তু বল ধরতেই পারেননি ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা যায় অশ্বিনকেও। পরের ওভারে মহম্মদ শামির ওভারে রান আউটের সুযোগ ফস্কান রোহিত। স্টাম্পের কাছে পৌঁছে গিয়েও বল উইকেটে লাগাতে পারেননি ভারত অধিনায়ক। ফিল্ডিংয়ের উপর দায় চাপালেও দলের ব্যাটারদের কোনও দোষ দিচ্ছেন না ভুবনেশ্বর। তাঁর মতে, পার্থের উইকেটে ব্যাট করা সহজ ছিল না। তিনি বলেন, ‘‘এই উইকেটে ব্যাট করা অতটা সহজ নয়। এ বারের বিশ্বকাপে পার্থে গড়ে ১৪০-এর কাছাকাছি রান হয়েছে।
তাই আমরা জানতাম, কম রান করলেও লড়াই করতে পারব।’’১৮তম ওভারে অশ্বিনের হাতে বল তুলে দেন রোহিত। সেই একটি ওভারে ১৭ রান হয়। সেখানেই খেলা দক্ষিণ আফ্রিকার হাতে চলে যায়। কিন্তু রোহিতের সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল বলেই মনে করেন ভুবি। তিনি বলেন, ‘‘পেসাররা ভাল বল করছিল। তাই আমাদের পরিকল্পনা ছিল, স্পিনার যদি রান কম দেয় তা হলে ম্যাচ জিততে পারব। সেই কারণেই অশ্বিনকে আগে বল দেওয়া হয়েছিল। যদি সেই ওভারে শুরুতেই উইকেট পড়ে যেত তা হলে খেলার ফল অন্য রকম হত।’’ দর্শকরাও অবাক হয়েছেন এরকম পর পর দুটি সুযোগ হারাতে দেখে।