নিজস্ব সংবাদদাতা, বীরভূম, ২২ মার্চ, ক্রমশ ভারতেও করোনাভাইরাস ভয়াবহ আকার নিতে শুরু করেছে। প্রতিনিয়ত হু হু করে বেড়ে চলেছে এই ভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা সাথে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। ইতিমধ্যে ভারতে এই ভাইরাসের সংক্রমণে সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ৩১৫, মৃত ৪। শহর কলকাতাতেও এই ভাইরাসের সংক্রমনের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪। সংক্রমণ ঠেকাতে ইতিমধ্যেই গতকাল ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইট নামতে দেওয়া হয়নি ভারতে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ভিন রাজ্যের পরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রেও বিধি নিষেধ শুরু করেছে রেল দপ্তর। আর এরই মাঝে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডাকে দেশজুড়ে ‘জনতা কারফিউ’।
বৃহস্পতিবার রাত্রি ৮টার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘জনতা কারফিউ’র কথা ঘোষণা করেন।আর এই জনতা কারফিউয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের নাগরিকদের কাছে আবেদন জানান, ‘রবিবার ২২ শে মার্চ জনতা কারফিউ মেনে চলার।’ যে কারণে সকাল ৭টা থেকে রাত্রি ৯টা পর্যন্ত ১৪ ঘণ্টা নিজেদের মধ্যে গৃহবন্দি করে রাখার কথা বলেন। তারপর থেকে বিরোধীরা অনেকেই এর বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন। তবে এই জনতা কারফিউকে সর্বসম্মতভাবে সম্মতি জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘WHO’।
আজ রবিবার এই জনতা কারফিউ-এর দিন এই জনতা কারফিউয়ে কেমন সাড়া পাওয়া যাবে! তা নিয়ে প্রথম থেকেই অনেকের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দেয়। তবে রবিবার সকাল থেকে জনতা কারফিউ শুরু হওয়ার সাথে সাথেই ছবিটা একেবারে আলাদা।রুটিন মেনে রবিবার সকাল থেকে সরকারি বাস রাস্তায় বের হলেও যাত্রীদের দেখা নেই। জেলায় জেলায় প্রতিটি রেলস্টেশন খাঁ খাঁ করছে। দুবরাজপুর, সিউড়ি, সাঁইথিয়া, বোলপুর, চাতরা আপাতত জেলার প্রত্যেকটি জায়গায় রাস্তাঘাট, বাজার খাঁ খাঁ করছে।