ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে সরকারের পদক্ষেপ, ১৫ নভেম্বর হতে পারে বৈঠক। এই বিষয়ে ১৩ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বে এক বৈঠক হয়। ১৩ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে আয়োজিত বৈঠকে, অস্বচ্ছ বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে যুবকদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়ার চেষ্টা বন্ধ করার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়। বৈঠকে আরও ঠিক হয় যে, এই বিষয়ে সরকার লাগাতার বিশেষজ্ঞ ও স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলোচন চালাবে।
একইসঙ্গে এটি যেন কোনও ভাবেই টেরর ফান্ডিং ও মানি লন্ডারিং-এর জন্য ব্যবহৃত না হয় সেদিকে নজর দেওযার বিষয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে। সরকার মনে করছে ক্রিপ্টোকারেন্সি এমন একটি বিষয় যা লাগাতার বিকশিত হচ্ছে। তাই বিষয়ে নজর রাখতে জরুরি পদক্ষেপ করা হবে।
একইসঙ্গে এই বিষয়ে সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে তা প্রগতিশীল ও ভবিষ্যতের কথা মাথার রেখে নেওয়া হবে বলেও সিদ্ধান্ত নয় এদিনের বৈঠকে।এবার সরকার এই বিষয়ে সিদ্দান্ত নেওয়া পরিকল্পনা করেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সরকার ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলির উপর একটি বিস্তারিত বিল আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে পেশ করা হতে পারে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ১৫ নভেম্বর এই বিষয়ে বৈঠক করতে পারে, অর্থ সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটি। সরকারের যে সমস্ত বিষয়ে চিন্তা দূর করার প্রয়োজন রয়েছে তা হল, এই ডিজিটাল সম্পত্তিকে কি মুদ্রা বা বিনিয়োগ সম্পত্তি হিসেবে ধরা যাবে? সূত্রের খবর, দেশে ক্রিপ্টোকারেন্সির মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রিত হলে আরও ভাল কর আদায়ের আশা করা যায়।
কোনও কোনও জায়াগা থেকে শোনা যাচ্ছে, বিলে ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে হওয়া রোজগারের ওপরে কর বসানো হতে পারে। যদি ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে রোজগার হয় তাহলে তাতে Capital Gains Tax চাপান হতে পারে। ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে আগেই নিজেদের বক্তব্য সরকারের সামনে রেখেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এই বিষয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের বক্তব্য, ভার্চুয়াল কারেন্সি নিয়ে RBI-র অবস্থানে কোনও পরিবর্তন আসেনি। ক্রিপ্টোকারেন্সি যথেষ্টই চিন্তা রয়েছে তাঁদের, এবং সেটা তাঁরা সরকারকেও জানিয়েছেন।
আর ও পড়ুন নিম্নচাপের প্রভাবে ঝাড়্গ্রাম জেলা জুড়ে বৃষ্টি শুরু
তিনি আরও জানান, বিনিয়োগকারীদেরও ডিজিটাল কারেন্সি নিয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। তবে এই বিষয়ে ভারত অবশ্য চিনের মতো পদক্ষেপ করতে রাজি নয়। চিন ডিজিটাল কারেন্সির ওপরে পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তবে ভারত ক্রিপ্টোকারেন্সি হয়ত সম্পূর্ণভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করবে না, তবে তার ওপরে নজরদারি চালাবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মতে, ক্রিপ্টোকারেন্সির ফলে দেশের অর্থ ব্যবস্থা বড়সড় ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারে। এর বাজার মূল্য নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছে আরবিআই।
এই বিষয়ে শক্তিকান্ত দাস গত বুধবার বলেছিলেন, ক্রিপ্টোকারেন্সি যেকোনও অর্থ ব্যবস্থার পক্ষেই ক্ষতিকারক। কারণ সেটি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয় না। ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে আরবিআই-এর অভ্যন্তরীণ প্যানেলের রিপোর্ট আগামী মাসে প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে।